ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:২১:২৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

বাংলাদেশের ‘পরবর্তী রাষ্ট্রপতি’ বিষয়ে আনন্দবাজারের চিন্তা

| ১৪ চৈত্র ১৪২২ | Monday, March 28, 2016

বাংলাদেশের 'পরবর্তী রাষ্ট্রপতি' বিষয়ে আনন্দবাজারের চিন্তা বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। শনিবার পত্রিকাটিতে প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহা দায়িত্ব পেতে পারেন বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে।

এর পেছনে অবশ্য কিছু যুক্তিও তুলে ধরে তারা। লেখকের দাবি,  শেখ হাসিনা প্রতিবাদী। তিনি একের পর এক যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির ব্যবস্থা করে কঠিন বার্তা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার পথেই টেনে নিয়ে যেতে চান। সামনের সব বাধাই তাঁর কাছে তুচ্ছ।

সেখানে আরও লেখা হয়েছে, হাসিনার আগ্রহেই ২০১৩র ২০ মার্চ বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন সংসদের স্পিকার আব্দুল হামিদ। তার ন’মাস পর সাধারণ নির্বাচন জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার সাধারণ নির্বাচন ২০১৯’এ। তার আগেই বর্তমান রাষ্ট্রপতি হামিদের মেয়াদ ফুরনোর কথা। সেই শূন্য আসনে সুরেন্দ্রকুমারকে বসানোর সুযোগ ছাড়বেন কেন হাসিনা। বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করার সুযোগ তার সামনে।

সিলেটের সভায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্রকুমার সিনহার বক্তব্য তেমন ঘটনারই ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করে পত্রিকাটি। সুরেন্দ্রকুমার সিনহা সেদিন তার বলেছিলেন, আমেরিকায় ডলার যার, গণতন্ত্র তার। বাংলাদেশে তা নয়। এখানে সবাই সমান।

পরে রিপোর্টটিতে অতীতের আরো অনেকগুলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। সেখানে লেখা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি আবু সঈদ চৌধুরী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তাকে ঘিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার আবর্তিত। মন্ত্রী ছিলেন সর্বসাকুল্যে ১১ জন। ১৯৭২ এর ১২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত সরকার বেশি দিন দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। ১৯৭৫ এর ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীতে সংসদীয় রীতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি চালিত সরকার চালু হয়। রাষ্ট্রপতি হন মুজিবুর রহমান। ছ’মাস বাদে ১৫ আগস্ট সেনা আক্রমণে সপরিবারে নিহত হন মুজিব। রাষ্ট্রপতি হন আওয়ামি লিগ নেতা খন্দকার মোস্তাক আহমেদ। বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধে মুজিবের নেতৃত্বে লিগে যোগ দিলেও মোস্তাক ছিলেন মুজিবের শত্রু। মুজিব হত্যায় তার হাত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। ছ’মাস পর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে মোস্তাক ক্ষমতাচ্যুত হন।

১৯৭৮-এর ৩ জুন ৭৬.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জেনারেল জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের নির্বাচন। এপ্রিলে সামরিক আইন প্রত্যাহার। ১৯৮১র ৩১ মে চট্টগ্রামে সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়া নিহত। মেজর জেনারেল মঞ্জুর রাষ্ট্রপতি। ১৫ নভেম্বর নির্বাচনে জিতে রাষ্ট্রপতি হলেন বিএনপি প্রার্থী এমএ সাত্তার। ১৯৮২র ২৪ মার্চ সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি হন।

১৯৯০-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবউদ্দিন আহমেদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেন এরশাদ। ১৯৯৬-এ শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি হন সাহাবউদ্দিন। ২০০৮-এ দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব নিয়েই যুদ্ধপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তিনি তৎপর। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী। পিতা মুজিবের মতই প্রধান বিচারপতিকেই রাষ্ট্রপতি করাটা পছন্দ করেন হাসিনা। এতে সুবিধে দু’দিকে। এক, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। দুই, একজন আইনজ্ঞকে অভিভাবক হিসেবে পাওয়া।