ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত টানা ২০২ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। সম্প্রতি খবর আসছে, ইউক্রেন বাহিনীর তীব্র পাল্টা আক্রমণে পিছু হটছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার দখল থেকে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা ইউক্রেনের বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে। তিনি বলেছেন, পূর্ব ও দক্ষিণ এলাকায় তাদের সেনারা এসব এলাকা পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
ফোর্বসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিনিয়ত রাশিয়ার অন্তত শত শত সেনা নিহত হচ্ছে। সেইসঙ্গে দেশটির বাহিনীর কয়েক ডজন গাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন বাহিনী।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের মতে, রাশিয়ার ১২শ’ ট্যাঙ্ক, যুদ্ধের গাড়ি, ট্রাক, হেলিকপ্টার, বিমান এবং ড্রোন ধ্বংস বা দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এছাড়া ইউক্রেনের বাহিনী দাবি করেছে, ২৯ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ৫ হাজার ৮০০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে।
রাশিয়া স্বীকার করেছে, তারা খারকিভ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে এক বিরল ঘোষণায় উপস্থাপক বলেছেন, ‘স্পেশাল অপারেশনের লড়াইয়ে এটা ছিল সবচেয়ে কঠিন এক সপ্তাহ। বিশেষ করে খারকিভ যুদ্ধে সৈন্যরা যেসব শহর স্বাধীন করেছিল,সংখ্যাগরিষ্ঠ শত্রু বাহিনীর আক্রমণে সেখান থেকে আমাদের সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’
স্বাধীন এলাকা বলতে সেসব এলাকাকে বোঝানো হচ্ছে, গত কয়েকমাসে যেসব এলাকা রুশ বাহিনী দখল করেছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটা এই যুদ্ধের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পালাবদল।
তবে অন্যদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা তাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জন করবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।