ঢাকা: মৃতদেহকে দাহ করতে পারছে না পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খোয়ার হিন্দুরা। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা মৃতদেহকে মাটিতে দাফন করছেন। শনিবার পাকিস্তান এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।
খাইবার পাখতুন খোয়ায় কম সংখ্যক শ্মশান ঘাট রয়েছে। এছাড়া মৃতদেহকে দাহ শেষে চিতা ভস্ম ‘আটক’ নদীতে ছিটিয়ে দেয়ার প্রথা রয়েছে । আটক নদীর পাশে শ্মশান ঘাট রয়েছে। এ কারণে বেশিভাগ হিন্দু পরিবার তাদের মৃতদেহকে আটক নদীর পাশে অবস্থিত শ্মশান ঘাটে দাহ করতে সেখানে নিয়ে যান। কিন্তু এই আটক নদীর শ্মশান ঘাট বুনারে অবস্থিত। খাইবার-পাখতুনখোয়ার লোকদের পক্ষে মৃতদেহ বুনারে এনে দাহ করা সম্ভব নয়।
বুনারে মৃতদেহ নিতে গেলে ১৫ হাজার পাকিস্তানি রুপি খরচ হয় এবং তার সঙ্গে যোগ হয় ৩০ হাজার রুপির লাকড়ির খরচ। দুই মিলে একটি মৃতদেহ দাহ করতে গেলে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার পাকিস্তানি রুপি লেগে যায়। যা খাইবার-পাখতুনখোয়ার পাকিস্তানি হিন্দুদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এ কারণে বহু হিন্দু তাদের মৃতদেহকে না দাহ করে দাফন করতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে দাফন করায় কবরের জায়গাও সীমিত হয়ে আসছে খাইবার পাখতুন খোয়ায়। পাকিস্তান হিন্দু রাইটস মুভমেন্টের চেয়ারম্যান হারুন সারবদিয়াল এসব কথা বলেন।
আর্থিক অনটনের কারণে বাড়ির পাশে জায়গায় মৃতদেহ দাফন করছেন বান্নু, হানগু, দেরা ইসমাইল খান ও মালাকান্দ এলাকার হিন্দুরা।