ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:১৫:৩১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

পাকিস্তানেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন করেছে অলাভজনক সংগঠন ইন্দুস কালচারাল ফোরাম।

| ৯ ফাল্গুন ১৪২২ | Sunday, February 21, 2016

যাদের বিরুদ্ধে ভাষার লড়াই করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিলো বাংলাদেশ, সেই পাকিস্তানেও প্রতিবারের মতো এবারও পালিত হবে আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস।  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বৈচিত্র্যময় মাতৃভাষা উৎসব আয়োজন করছে দেশটি।

২১ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের অংশ হিসেবে শনিবার থেকে দুই দিনের জন্য মাতৃভাষা সাহিত্য উৎসব আয়োজন করেছে ইসলামাবাদভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ইন্দুস কালচারাল ফোরাম। পাকিস্তানের লোকজ ও ঐতিহ্যগত  জাতীয় ইনস্টিটিউট লোক ভিরসা এবং মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা এসপিও’র সহযোগিতায় উৎসবটি আয়োজন করা হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজারভার। তবে প্রতিবেদনে মাতৃভাষা দিবসটি ইউনেস্কো ঘোষিত বলে উল্লেখ করা হলেও দিবসের ঐতিহাসিক ঘটনার কথা কোথাও বলা হয়নি।
পাকিস্তান অবজারভারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ১৫টি মাতৃভাষাভাষী ১৫০ জনেরও বেশি লেখক উৎসবে বক্তব্য রাখবেন। সমাজে শান্তি ও সহিষ্ণুতা আনার জন্য পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতিগত বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করা এবং বিভিন্ন মাতৃভাষায় পাঠকে উৎসাহিত করা এ উৎসবের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় সংগীত পরিবেশনা, আলোচনা, বিভিন্ন মাতৃভাষায় লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনসহ নানা আয়োজন থাকছে উৎসবে। সেইসঙ্গে মূল ভাষায় লেখা বই ও সে বইয়ের ইংরেজী ও উর্দুতে অনূদিত সংস্করণ নিয়ে বইমেলারও আয়োজন করা হয়েছে।

এ উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুদের বিভিন্ন ভাষার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা যাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। এছাড়া পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখকদের মধ্যেও সেতুবন্ধন তৈরি হবে বলে আশা করছেন তারা।

ইউএসএআইডি’র পাকিস্তান রিডিং প্রজেক্টের সহায়তায় উৎসবে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিও থাকছে।

একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল দিনটিকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকলেও ওই বছর নভেম্বরে ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। সূত্র: পাকিস্তান অবজারভার