ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৩৮:১৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

নেপালে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে

| ১৪ বৈশাখ ১৪২২ | Monday, April 27, 2015

কাঠমান্ডুতে একটি তাঁবুতে ভূমিকম্প-দুর্গত এক পরিবার। ছবিটি রোববার তোলা। ভূমিকম্পে ঘরহারা নেপালিরা এভাবেই খোলা আকাশের নিচে থাকছে। ছবি: রয়টার্স

নেপালে গত শনিবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ২১৮ জনে পৌঁছেছে। আজ সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রামেশ্বর দাঙ্গাল এ তথ্য জানান। আহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে ছয় হাজার ৫০০ জনের বেশি।

এএফপির খবরে জানানো হয়, ভারত ও চীনে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে তুষারধসে হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে গতকাল পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। এ পরিস্থিতিকে দুর্যোগপূর্ণ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছে নেপাল। গতকাল রোববার নেপালে আবার নতুন করে ভূমিকম্প হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ওই ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
নেপালের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মীনেন্দ্র রিজাল ভারতীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের দেশ একটি দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অনেক সহায়তা ও ত্রাণ প্রয়োজন।’

বিবিসির খবরে জানানো হয়, ভূমিকম্পে গৃহহীন কাঠমান্ডুর মানুষ গতকালও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা গৃহহীনদের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করছে। যাদের ঘর বিধ্বস্ত হয়নি, তাঁরাও খোলা আকাশের নিচে থাকছেন। গতকাল আবার ভূমিকম্প হওয়ায় তাঁরা ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।

শনিবারের ভূমিকম্পে কাঠমান্ডুর অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। ইট, সিমেন্ট, কাঠের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। রাতভর উদ্ধার অভিযান চলে। তবে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ায় উদ্ধার অভিযানে সময় লাগছে। কাঠমান্ডুর অধিকাংশ এলাকা শনিবার দিবাগত রাত ছিল বিদ্যুৎহীন। মুঠোফোন নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত। সড়কে ধ্বংসাবশেষ থাকায় ও গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় কিছু এলাকায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। ঘটনাস্থলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও নিয়ে যেতে পারছেন না তাঁরা।
হাসপাতালগুলোতে হতাহত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী হেলেন এসজোকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত, হাসপাতালে রোগী বা লাশ রাখার জায়গা হচ্ছে না।’
আন্তর্জাতিক সহায়তা: যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশেষ দল পাঠাচ্ছে। প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে ১০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসএইড। প্রতিবেশী ভারত বেশ কিছু হেলিকপ্টার, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল এবং ৪০টি শক্তিশালী উদ্ধারকর্মী দল ও ডগ স্কোয়াড পাঠিয়েছে। চীন ডগ স্কোয়াডসহ উদ্ধারকর্মীদের ৬২টি দল পাঠিয়েছে। পাকিস্তান চারটি এয়ারক্রাফট, ৩০টি হাসপাতাল শয্যা, সেনাবাহিনীর চিকিৎসক দল, খাবার, তাঁবু ও কম্বল পাঠাচ্ছে।

ত্রাণ ও চিকিৎসা দল পাঠাল বাংলাদেশ: নেপালের জনগণকে সহায়তার জন্য ছয়টি চিকিৎসা দলসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমানে করে মোট ৩৪ জনের একটি দল কাঠমান্ডু পৌঁছায়।