মহালয়া ১২ অক্টোবর আর ২২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবীকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হিন্দু সম্প্রদায় মহাধুমধামে উদযাপন করলো দুর্গোৎসব। বিহিত পূজা দর্পণ ও বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবী চলে গেলেন কৈলাশে। শঙ্খধ্বনী, ঢাকের বাদ্য ও দেবীর কপালে সিঁদুর দিয়ে মহাদশমীর উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান। নিউইয়র্কের প্রতিটি মন্দিরে এবার বাংলাদেশে বেশ কিছু মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুররের প্রতিবাদ জানানো হয়।
বাঙালি অধ্যুষিত নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ওজন পার্ক, ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, এস্টোরিয়াসহ বিভিন্ন মন্দিরে ১২ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের শুরু হয়েছিল। প্রতিটি মন্দিরে গাঁদাফুল আর বেলপাতায় সজ্জিত দেবীর মঞ্চ মনোযোগ কেড়েছিল ভক্তদের। এসব মন্দিরে সারাক্ষণই চলে ঈশ্বর বন্দনা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতী, ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের সুরের মৌতাত সঙ্গে সুরেলা উলুধ্বনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও কোলকাতার বিখ্যাত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে। উৎসবমুখরতার আবেশে হাজারো ভক্তের পদচারণা যোগ করেছিল বাড়তি মাত্রা। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে সেই ভিড় ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের অলিগলিতে। প্রতিটি পূজায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
জ্যাকসন হাইটসের ওঁমশক্তি মন্দির, জ্যামাইকার মহামায়া মন্দিরে আমেরিকান বাঙালি হিন্দু ফাউন্ডেশন, উডসাইডের দিব্যধাম মন্দিরে সার্বজনীন পূজা উদ্যাপন পরিষদ ইউএসএ, জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউয়ের বাবা বালকনাথ মন্দিরে নর্থ আমেরিকা হিন্দু কল্যাণ পরিষদ, উডসাইডের গুলশান টেরেসে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নিউইয়র্ক, সাউথ রিচমন্ড হিলের হরিমন্দিরে মন্দিরে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ আর্ন্তজাতিক মতুয়া মিশন ইন্ক এবং ব্রুকলিনের রাধামাধব মন্দিরে মহাধুমধামে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়।