নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরিজোনা রাজ্যের একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আরিজোনায় সমাবেশে এক বিক্ষোভকারীকে ঘুষি ও লাথি মারা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের শীর্ষ মনোনয়ন প্রত্যাশী ট্রাম্পের প্রচারণা ব্যাহত করতে বিরোধীরা সর্বশেষ এ প্রচেষ্টা চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ এ সময় অল্প কয়েকজনকে আটক করেছে।
এনবিসি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মুখ ও ‘আমেরিকার জন্য ক্ষতিকর’ লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড তুলে ধরা এক বিক্ষোভকারীকে মারধর করা হয়েছে। ট্রাম্পের সমাবেশে আসা এক ব্যক্তি ওই বিক্ষোভকারীকে লাথি ও ঘুষি মারে। এরপর ওই এলাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে ফেলে।
পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে ম্যানহাটনের কলম্বাস সার্কেলে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দিয়েছে, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, চলে যাও, সে বর্ণবাদী , যৌন পরায়ন, সমকামী বিরোধী’।
উল্লেখযোগ্য পুলিশি উপস্থিতির মধ্যে বিক্ষোভাকারীরা প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘ট্রাম্পকে নির্বাসনে পাঠাও’ ও ‘ট্রাম্পের চারপাশে দেয়াল তৈরি কর’।
নগরীর বিখ্যাত ফিফথ অ্যাভিনিউতে সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশ দ্রুত এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
কসমোপলিটন অ্যান্টিফাসিস্ট এর ব্যানারে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। তবে অন্যরাও এতে অংশ নেন।
টাকসনে সংঘর্ষের আগে বিক্ষোভকারীরা ফিনিক্সের উপকণ্ঠে একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করেন। ট্রাম্পের সমর্থকদের তার সমাবেশে আসতে বাধা দিতে সড়ক অবরোধ করা হয়।