ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:২৮:৪৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশ

| ১৪ ফাল্গুন ১৪২২ | Friday, February 26, 2016

ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬, ৪:৩৮ অপরাহ্ন

Print ঢাকা: বিশ্ব জুড়ে ক্রমশই ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহের মতো ঘটনা বেড়েই চলছে। উন্নত দেশগুলিতে সেই সব ধর্ষণের খবর নজরে আসলেও অনুন্নত দেশগুলিতে অধিকাংশ ধর্ষণের খবর চাপা পড়ে যায়। সম্মানহানীর ভয়ে অনুন্নত দেশে অনেক মহিলাই ধর্ষণের খবর পুলিশকে জানান না। ফলে বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন ঘটে চলা ধর্ষণের বা নারী নিগ্রহের ঘটনার তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করা বেশ কঠিন। তবু সরকারি এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে আসে তা রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার মতো। দেখে নেয়া যাক ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় শীর্ষে থাকা ১০ দেশের তালিকা।
১.দক্ষিণ আফ্রিকা: তালিকার শীর্ষে থাকা এই দেশে প্রতি বছর ৫ লক্ষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০ শতাংশ নারী জীবনে একবার ধর্ষিত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী ৯ জন ধর্ষিতার মধ্যে মাত্র ১ জন পুলিশে খবর দেন।

২.সুইডেন: ধর্ষণের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই রয়েছে সুইডেন। প্রতি লাখে ৫৩.২ শতাংশ নারী ধর্ষিত হন। ধর্ষণের ঘটনাও বেড়েছেও লাফিয়ে লাফিয়ে। ১৯৭৫ সালে যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৪২১ জন, সেখানে ২০১৪ সালে ধর্ষণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬,৬২০-তে।

৩.আমেরিকা: জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যায়ের সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন তাদের জীবনে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। দেশটির ১৯ শতাংশ নারী এবং ২ শতাংশ পুরুষ তাদের জীবনে অন্তত একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

৪.ইংল্যান্ড: এক সমীক্ষার তথ্য অনুাযায়ী দেশটিতে ধর্ষণের সময় শুধু পুরুষের লিঙ্গ ব্যবহার করা হয় না। আঙুল বা অন্য কোন বস্তু ব্যবহার করে ধর্ষণ করা হয়। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছরে ইংল্যান্ড এবং ওয়ালসে ৮৫ হাজার মানুষ ধর্ষিত হন।

৫.ভারত: জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে ১ নারী ধর্ষিতা হন। অধিকাংশ নিগৃহীতার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

৬.নিউজিল্যান্ড: এ দেশের ন্যায় মন্ত্রকের প্রকাশিত রির্পোট অনুযায়ী প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর একজন যৌন হেনস্থার শিকার হন। এই রির্পোট থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি তিন জন বালিকার মধ্যে একজন এবং প্রতি ছ’জন বালকের মধ্যে ১ জন তাদের ১৬ বছর বয়েসের আগেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে।

৭.কানাডা: দেশটির সংবাদমাধ্যমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী কানাডায় বছরে ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ যৌন হেনস্থার শিকার হন। প্রতি ৪জন নারীর মধ্যে অন্তত ১ জন তাদের জীবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ পুলিশের রিপোর্ট করেন।

৮.অস্ট্রেলিয়া: একটি সংবাদমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি ৬ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ধর্ষণের শিকার হন। ২০১২ সালে ৫১, ২০০ জন তাদের ১৮ বছর বয়েসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

৯.জিম্বাবুয়ে: দেশটিতে প্রতি ৯০ মিনিটে ১জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। জিম্বাবয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০০ জন এবং দিনে ৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন।

১০.ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড: একটি মানবাধিকার সংস্থা সমীক্ষা অনুযায়ী ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ নারী এবং ফিনল্যান্ডে ৩৭ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন।