ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আজ সোমবার দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আজ সোমবার দিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের একশ’ দিন উপলক্ষে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘আমি যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম তখনই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে বলে এসেছি দিল্লি ফিরেই এ বিতর্কিত বিষয় সমাধানে উদ্যোগ নেব। এখন সেই উদ্যোগ নিয়েছি।’
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ পরামর্শ কমিটির বৈঠকে সুষমা স্বরাজ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
তিস্তা সিকিম থেকে উৎসারিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় ও স্থল সীমান্ত চুক্তি প্রটোকল বাস্তবায়ন বিষয়ে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘এ বিষয়ে সংবিধান সংশোধনী বিলটি ভারতের রাজ্যসভায় উত্থাপিত হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর বিলটি লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের নিয়ে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর স্ট্যান্ডিং কমিটি পুনর্গঠিত হয়েছে। সেখানে এখন রাজনৈতিক আলোচনা চলছে। ওই রিপোর্ট জমা পড়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার বিলটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি বলেন, কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে বিজেপিসহ সব দলের প্রতিনিধি রয়েছেন। বিলটি স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকের আলোচ্যসূচিতেও রাখা হয়েছে। ভারতের পার্লামেন্টের প্রথা অনুযায়ী আগামী নভেম্বরে শীতকালীন অধিবশনের প্রথম সপ্তাহে কমিটির চেয়ারম্যান বিলটি মতামতসহ লোকসভায় জমা দেবেন।
ভারতে বিজেপি সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ সম্পর্কে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘সাধারণত সরকার পরিবর্তন হলেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আগের সরকারের নীতির কোনো পরিবর্তন হয় না।’
উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় আলোচনার সময় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে এ নিয়ে কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট হয়নি।
ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে আলোচনা করেছেন কি না এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।