ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৫:৪৯:১৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পুতিন

| ৫ পৌষ ১৪২২ | Saturday, December 19, 2015

  •  

    বর্ণবাদী মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিশ্ব নেতাদের সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে তিনি ভূয়সী প্রশংসা পেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে।রুশ প্রেসিডেন্টের বিচারে ট্রাম্প “অসাধারণ একজন মানুষ, দারুণ মেধাবী, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ ইয়র্কের বিলিয়নেয়ার ট্রাম্প তার প্রচারে বিভিন্ন সময়ে পুতিনের ‘লৌহ কঠিন ইমেজ’ এবং সিরিয়ার বিষয়ে তার নীতির প্রশংসা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে দাবি তুলে ট্রাম্প সমালোচিত হচ্ছেন, সে বিষটিকে পুতিনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে যেই জয়ী হোক, তার সঙ্গে কাজ করতে মস্কোর কোনো সমস্যা নেই।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের পর ট্রাম্পকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, “তার মূল্যায়ন করা আমাদের কাজ না, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাই তা দেখবে।… কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই এগিয়ে।”

২০১৩ সালে ইউক্রেইন এবং সিরিয়া নিয়ে মতবিরোধ থেকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বারাক ওবামার সম্পর্কে শীতলতা তৈরি হতে থাকে।

ওবামার পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে বুধবার ট্রাম্প বলেন, “আমি পুতিনের কাছে যাব, অন্যদের কাছেও যাব, আমার ধারণা- আমরা আরও স্থিতিশীল একটি বিশ্ব গড়তে পারব।”

কয়েক মাস আগে রাশিয়া সিরিয়া যুদ্ধে যোগ দেওয়ার পর আমেরিকা নাখোশ হলেও সে সময় ট্রাম্পের সমর্থন পেয়েছিলেন পুতিন।

গত ২ ডিসেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো শহরের একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি তোলেন ট্রাম্প।

তার ওই বক্তব্য ভালো চোখে দেখেননি রিপাবলিকান পার্টির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও। লিন্ডসে গ্রাহাম এর নিন্দা জানিয়ে অন্যদেরও নিন্দা জানাতে বলেছেন। আর ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ বলেছেন, ট্রাম্প ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’।

ডেমোক্রেট দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্য মোটেও হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, বরং বিপদজনক।

ওই মন্তব্যের বিষয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই রিপাবলিকান পক্ষান্তরে ইসলামিক স্টেটকেই উজ্জীবিত করেছেন।

ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ, গুগল প্রধান সুন্দর পিচাই এবং ব্রিটিশ লেখক জে কে রাওলিংয়ের মতো ব্যক্তিরা। ৩৫ হাজারেরও বেশি ব্রিটিশ নাগরিক ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে একটি পিটিশনে সই করেছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ট্রাম্পের বক্তব্যকে বলেছেন ‘স্টুপিড’। এমনকি ইসরায়েলের নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পর্যন্ত ট্রাম্পের সমালোচনায় বলেছেন, সব ধর্মের মানুষের প্রতি তার দেশের শ্রদ্ধাবোধ আছে, ইসরায়েল সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

অবশ্য এতো সমালোচনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোটের প্রচারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। জনমত জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এখনো তিনিই এগিয়ে আছেন।