বেইজিং, ২৬ মে- জাপানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে দু দিনের সাত জাতি সম্মেলন। ইসেশিমায় স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় ( বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টা) আনুষ্ঠিকভাবে এই সম্মলন উদ্বেধন করেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
সম্মেলনের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানজো আবে। তিনি এতে অংশ নেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে ইসেশিমায় অবস্থিত দুই হাজার বছরের পুরাতন মন্দির পরিদর্শনে যান জি-৭ নেতারা। এরপর শিমা কনফারেন্স সেন্টারে অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেন সাত দেশের নেতারা। মধ্যাহ্ন ভোজের আগ পর্যন্ত তাদের এ আলোচনা অব্যাহত ছিল।
দিনের দ্বিতীয়ভাগে সন্ত্রাস, বাণিজ্য, সাইবার নিরাপত্তা, সমুদ্র নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন ও শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, জি-সেভেনের লক্ষ্য হচ্ছে উন্নত গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধি অর্থনীতির পথে যাত্রা। মানবিক সংকট ও সন্ত্রাস মোকাবিলায় পাশাপাশি থেকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরো বলেন, ‘গেল বছর আমরা এশিয়ান সম্মেলনে বিশ্ব উন্নয়নের লক্ষ্য ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তবে জি-সেভেন সম্মেলন থেকে আরো ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জাপান সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করবে।’ নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিশ্বনেতারা এক যোগে কাজ করবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে বুধবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি। এই সময় তিনি সম্প্রতি ওকিয়েনায় মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে সংঘটিত অপরাধকর্মের সমালোচনা করেন। ভবিষতে নৌ-বাহিনীর কোন সদস্য এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত হকে না বলে শিনজো আবেকে আশ্বস্ত করেন ওবামা।
দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনে দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ শুক্রবার হিরোশিমায় সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হিরোশিমায় সফর করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এটম বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষমা চাইবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওবামা। তবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।