মস্কো : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের ওপর দিয়ে যে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, তার লক্ষ্য ছিল প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপের সামরিক ঘাঁটি। এ ঘাঁটিতে পরমাণু হামলা চালানোর প্রথম ধাপ এটি। খবর বার্তা সংস্থা তাসের।
উত্তর কোরিয়ার বার্তাসংস্থা কেসিএনএ কিম জং-উনের বিবৃতি উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে জবাবও দেয়া হয়েছে।
রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে এই প্রথমবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নির্দেশ দেন কিম জং-উন। প্রশান্ত মহাসাগরে লক্ষ্যবস্তুর দিকে নজর রেখে আরো পরীক্ষা চালানোর প্রয়োজন।
কোরিয়ান পিপল’স আর্মির (কেপিএ) সামরিক সক্ষমতার বিষয়ে বলতে গিয়ে কিম জং-উন বলেন, সাম্প্রতিক বিধ্বংসী রকেট উৎক্ষেপণের মহড়া প্রকৃত যুদ্ধের মতোই এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়ামে হামলার প্রথম ধাপ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের হুমকি দিলে এ মাসের প্রথম দিকে গুয়ামের পাশে ঘাঁটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া। হামলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে পিয়ংইয়ং দাবি করলেও শেষ পর্যন্তু তারা কোনো হামলা চালায়নি। এ থেকে মনে করা হচ্ছিল, পরিস্থিতি হয়তো শান্তি হয়েছে।
কিন্তু মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া হোয়াসং-১২ নামে যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, তা কিম জং-উন গুয়ামে হামলায় ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। তবে এটি নিক্ষেপের পথ ছিল আলাদা। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের ওপর দিয়ে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হুমকি ও অস্থিতিশীল কর্মকা-ের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার শাসক আঞ্চলিক ও বিশ্ব থেকে আরো বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে।’
এদিকে, মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এর আগে আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাতে কানই দিচ্ছে না তারা।