ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:৩৫:২৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

জাতিসংঘে ইসরায়েলবিরোধী ভোট দেয়নি ভারত

| ২০ আষাঢ় ১৪২২ | Saturday, July 4, 2015

জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলবিরোধী ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকলো উদীয়মান পরাশক্তি ভারত। গত বছর গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের ওপর জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের তৈরি করা প্রতিবেদন শুক্রবার জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পক্ষ থেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হলে এ অবস্থান নেয় এশিয়ার এই ক্ষুদে পরাশক্তি। তবে প্রতিবেদনটিতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কিছু রাষ্ট্রসহ মোট ৪১টি দেশ এ প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য ভোট দেয়। তবে ভারতসহ পাঁচটি দেশ এ ব্যাপারে বিরত থাকে।

এদিকে বিরত থাকা বাকি চারটি দেশ হলো : কেনিয়া, ইথিওপিয়া, প্যারাগুয়ে ও মেসিডোনিয়া। তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুমোদনের বিপক্ষে ভোট দেয় কেবল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের এ বিরত থাকার সিদ্ধান্তকে যখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলের জন্য অভূতপূর্ব অর্জন বলে উল্লেখ করছে, তখন নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘ফিলিস্তিনকে সহযোগিতা ইস্যুতে ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই।’ ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে মোদির সরকারকে তাদের পশ্চিম-এশিয়া নীতির বিষয়ে জনগণকে বোঝাতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে সরকার নতুন কোনো পথ খুঁজছে না বলে বিজেপি জোট দাবি করলেও ২০১৪ সালে ইসরায়েলের গাজা অভিযানের ওপর জাতিসংঘের তৈরি করা অপর এক প্রতিবেদনে অনুমোদন দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে তারা। তবে, এবার সেই সমালোচনার পথ বন্ধ করে দিল বিজেপির জোট সরকার। তবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার যুক্তি দিয়ে ভারত বলছে, জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বলায় নয়া দিল্লি ভোটের ব্যাপারে নীরব থেকেছে। কারণ ভারত আইসিসিকে মানে না।

এদিকে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ফিলিস্তিন ইস্যুতে নয়া দিল্লির নীতির কোনো পরিবর্তন নেই দাবি করা হলেও তাদের নীতির পরিবর্তন দৃশ্যমান ইসরায়েল ইস্যুতে। এর প্রমাণ শুক্রবার জাতিসংঘে কার্যত ইসরায়েলবিরোধী ভোটে বিরত থাকা। আরও পোক্ত প্রমাণ আসছে চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে। এ সময়ে ইসরায়েল সফরে যেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ সফরে যাবেন মোদি।