ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৫২:২২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

গুজরাটে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

| ৩ আষাঢ় ১৪২৩ | Friday, June 17, 2016

আহমেদাবাদ, ভারত : গত ১৪ বছর আগে ধর্মীয় দাঙ্গা চলাকালে অনেক মুসলমানকে হত্যা করার দায়ে শুক্রবার ভারতের একটি আদালত ১১ জন হিন্দু নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। সেখানে এ ভয়াবহ দাঙ্গার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

বিচারক পিবি দেসাই ৬৯ জন মুসলিম নাগরিককে হত্যা করায় অপর ১২ জনের প্রত্যেককে সাত বছর করে সাজা দিয়েছেন। গুজরাটের আহমেদাবাদ নগরীতে একটি আবাসিক চত্বরে এসব মুসলিম নাগরিককে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে মারা হয়।
এ মাসের গোড়ার দিকে আহমেদাবাদের বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত ২৪ জন হিন্দু নাগরিকের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে এ হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
সপ্তাহব্যাপী এ দাঙ্গা চলাকালে হাউজিং কমপেলক্সের পর গুলবার্গ হত্যাযজ্ঞ এককভাবে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। ভারতে নৃশংস এ সহিংসতায় মোট সহ¯্রাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে।
মোদির একগুয়ে মনোভাবের কারণে সেখানে এ দাঙ্গা বাঁধে। সহিংসতা চলাকালে অন্ধের মতো কাজ করায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গুজরাটের প্রধান হিসেবে মোদিকে অভিযুক্ত করে।
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায় ৫৯ হিন্দু তীর্থযাত্রী প্রাণ হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা এ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটায়। ট্রেনে ওই আগুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মুসলমানদের দায়ী করা হয়।
২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত হয় সেখানে ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মোদির কোন ধরণের সম্পৃক্ততা না থাকায় এ মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়।
বিগত কয়েক বছর ধরে চলা এ মামলার বিচার কাজে তিন শতাধিক লোকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০০৯ সালে এ মামলার বিচার কাজ শুরু করা হয়।
প্রসিকিউটররা দোষী সাব্যস্ত সকলের মৃত্যুদন্ড চেয়েছিলেন।