ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৫১:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সভায় লাঙ্গলবন্দ উন্নয়নের নকশা পরিবর্তন।

| ২০ আশ্বিন ১৪২৩ | Wednesday, October 5, 2016

Manik Chandra Sharkar's photo.ফলোআপ- লাঙ্গলবন্দ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনায় নকশায় পরিবর্তন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দকে উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্দর ও সোনারগাঁও উপজেলায় অবস্থিত ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড় জুড়েই এ উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হবে। সেই লক্ষ্যে বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় ঢাকার গণপূর্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এবং লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদসহ হিন্দু নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে প্রকল্পের নকশা অনুমোদন করা হয়েছে। তবে নকশা অনুমোদন সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের পরামর্শ এবং সর্ব সম্মতিক্রমে নকশার সামান্য পরিবর্তন এনে চূড়ান্ত করে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানের অবকাঠামো ও আধ্যাতিক স্থাপনার উন্নয়ন, পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র প্রণয়ন, ঐতিহাসিক ভবন ও স্থাপনা সমূহের সংরক্ষন, বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও পূর্ণার্থীদের জন্য আবাসিক স্থাপনা নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে লাঙ্গলবন্দের উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও পার্কিং সুবিধা, ঘাট কমপ্লেক্স ও ঘাট সমূহের উন্নয়ন, অত্যাধুনিক হোটেল, রেষ্ট হাউজ, লো-কস্ট ভর্ম, অস্থায়ি আবাসন এলাকা, হাসপাতাল, কন্ট্রোল রুম, পুলিশ ফাঁড়ি, পৌর সভার অফিস, লাইব্রেরী/ রিসার্চ সেন্টার, জাদুঘর, পার্ক, জু হাউজ, বোট ক্লাব, রেস্তোরা, মন্দির, সমাধির উন্নয়ন, মসজিদ, সংরক্ষিত পূরাকীর্তির এলাকা, ওয়াচ টাওয়ার ইত্যাদি। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড় (সোনারগাঁও) ৯৮০ ফুট দৈর্ঘ্যরে দুটি ঘাট দিয়ে ঘন্টায় ১৮’শ ৬৬ জন পূর্ণাথী পূজার আচার ও স্লান করতে পারবে। এছাড়াও নদের পশ্চিম পাড়ে বন্দর এলাকায় বর্তমানে মোট ১৩টি স্লান ঘাট এবং প্রস্তাবিত আরো একটি নতুন ঘাট এবং ঘাট কমপ্লেক্স সহ মোট ৪ হাজার ৫’শ ফুট দৈর্ঘ্য ঘাট দিয় ঘন্টায় ৮ হাজার ৮৫৬ জন মানুষ পূর্ণার্থীর আচার ও স্লান সম্পন্ন করতে পারবে। প্রতিটি ঘাটের সাথে লকার ড্রেস চেঞ্জ রুম, ওয়াশ রুমের সুবিধা থাকবে। যাতে এক সাথে ৭৫০ জন পূর্ণার্থী এসব সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এছাড়াও ঘাটের পাশেই থাকবে টয়লেট এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সির উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লাঙ্গলবন্দ উন্নয়ন প্রকল্পের নকশাটি উপস্থাপন করেন। নকশা উপস্থাপনের পর নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, লাঙ্গলবন্দ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থ স্থান। সেখানে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি বিশেষ স্থান থাকতে হবে যেখানে শুধুমাত্র তারাই প্রবেশ করবেন এবং সম্পূর্ন নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তাদের ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করবেন। পাশাপাশি লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড়ে সোনারগাঁও উপজেলা পড়েছে এবং ওই পাড়ে সম্পূর্ন জায়গাটিই খালি রয়েছে তাই আমি অনুরোধ করবো যাতে করে নদের পূর্ব পাড়ে অর্থাৎ সোনারগাঁও এলাকা থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় এবং পর্যটন কেন্দ্র, জু-পার্ক, সহ বিনোদন কেন্দ্র গুলো পূর্ব পাড়েই করা হয় এবং পশ্চিমপাড় অর্থাৎ বন্দর এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থ স্লানের সংরক্ষন এবং উন্নয়ন করে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়। এছাড়াও পশ্চিম পাড়ে কিছু জায়গা তাদের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে যাতে করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিত্তশালী যারা রয়েছেন তারা অনেকেই আছেন সেচ্ছায় সেখানে কিছু একটা করতে চায়। সে সকল মানুষদেরকে জন্য এই সুযোগটা রাখতে হবে। এতে করে প্রকল্প বাস্তবায়নে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে অপরদিকে প্রকল্প আরও বৃহৎ হবে এবং সরকারী অর্থও হয়তো কম খরচ হবে। সংসদ সদস্যের এমন প্রস্তাবনার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পূর্বপাড়ে নদীর পাড়ে জমি সম্পূর্ন খালি রয়েছে। সরকার শুধুমাত্র সেখানে জমি অধিগ্রহণ করলেই কাজ শুরু করা যাবে এবং পরিকল্পিতভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যাবে। আর পশ্চিমপাড়ে অনেক জায়গা বেদখল হয়ে আছে সেখানে জমি দখলমুক্ত করতে হয়তো বা কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে এতে করে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে সময় দীর্ঘ হবে। তাই যাতে করে অন্তত্য আগামী বছর লাঙ্গলবন্দ পূর্ণ¯স্লানের পূর্বে পূর্ণার্থীরা যেন এ প্রকল্পের সুবিধা কিছুটা হলেও ভোগ করতে পারেন। তাই আমি অনুরোধ করবো প্রকল্পটির সামান্য পরিবর্তন এনে সোনারাগাঁওয়ের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলার নির্বার্হী কর্মকর্তা দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বার সহ আজকে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে আরেকটি আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত করে অনুমোদন করা হলে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে সুবিধা হবে এবং সকলের সহযোগীতা তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সেলিম ওসমানের এমন প্রস্তাবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সহ অন্যান্য সমর্থন জানিয়ে নকশা পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়ে সভার সমাপ্তির করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গর্ণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহাবুর রহমান, বন্দর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা হোসেনে আরা, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরজ কুমার সাহা, শঙ্কর সাহা, শিপন সরকার, সুজন সাহা, সহ নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা।

Manik Chandra Sharkar's photo.

আরও পড়ুন...