ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:১৫:২২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

কে কে মুহাম্মদের মতে মন্দির ভেঙেই বাবরি মসজিদ করা হয়!

| ১৫ মাঘ ১৪২২ | Thursday, January 28, 2016

মুহাম্মদের মতে মন্দির ভেঙেই বাবরি মসজিদ করা হয়!

ভারত: বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দু মন্দিরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ পাওয়া গেছে। এ গবেষণা ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলের না। আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক কে কে মুহাম্মদ এ কথা বলছেন। খবর জিনিউজের।

১৯৭৬-৭৭ সালে অধ্যাপক বিবি লালের নেতৃত্বে আর্কেওলজ্যিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি দল বাবরি মসজিদের স্থানে মাটি খননের কাজ করেন সেখান থেকে মন্দিরে ধ্বংসাবশেষ উঠে আসে।

কিন্তু এ সত্যকে বিকৃত করে ভারতের বামপন্থি ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব ও রোমিলা থাপার। তারা বাবরি মসজিদ বিতর্কের সুন্দর সমাধান বাতিল করে দেন। কে কে মুহাম্মদ তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।

বারবি মসজিদ বিতর্ক বহুদিন আগেই মীমাংসা হয়ে যেত। মুসলমানরা বামপন্থি ইতিহাসবিদদের কাছে নিজেদের মগজ ভাড়া দেয়ার কারণে আজ এই দশা।

কেকে মুহাম্মদ বলেন, রোমিলা থাপার, বিপিন চন্দ্র, এস গোপাল যুক্তি দেখান বাবরি মসজিদের স্থলে কোনো মন্দিরকে ধ্বংস করা হয়নি। এরা তথ্য প্রমাণের জন্য ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, আরএস শর্মা, ডিএন ঝাঁ, সুরাজ বেন এবং আকতার আলিকে সমর্থন করেন। ফাস্টপোস্ট নামক একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কেকে মুহাম্মদ এসব বলেন।

কেকে মুহাম্মদ বলেন, বাবরি মসজিদের স্থান থেকে একটি পিলার পাওয়া যায়নি। ১৪ টি পিলার বাবরি মসজিদের স্থান থেকে খোদাই করে পাওয়া গেছে। প্রত্যেক পিলার ১১ শতাব্দী থেকে ১২ শতাব্দীর। মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ওপর দাড় করানো হয়েছে বাবরি মসজিদ। বিভিন্ন ইংরেজি দৈনিকে এ সত্য কথা আমি বহুবার লিখে জানিয়েছি।

কেকে মুহাম্মদ বলেন, এই বামপন্থি লেখকরাই এলাহাবাদ হাইকোর্টকে ভুল বুঝিয়েছে। তারাই সেই আদালতে বলেন, কুতুবমিনার ও তাজমহল হিন্দু মন্দিরের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

কেকে মুহাম্মদ ২০১২ সালে আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি এখন হায়দ্রাবাদে আগা খান ট্রাস্ট প্রজেক্টের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।