ভারত: বাবরি মসজিদের স্থানে হিন্দু মন্দিরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ পাওয়া গেছে। এ গবেষণা ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলের না। আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক কে কে মুহাম্মদ এ কথা বলছেন। খবর জিনিউজের।
১৯৭৬-৭৭ সালে অধ্যাপক বিবি লালের নেতৃত্বে আর্কেওলজ্যিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি দল বাবরি মসজিদের স্থানে মাটি খননের কাজ করেন সেখান থেকে মন্দিরে ধ্বংসাবশেষ উঠে আসে।
কিন্তু এ সত্যকে বিকৃত করে ভারতের বামপন্থি ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব ও রোমিলা থাপার। তারা বাবরি মসজিদ বিতর্কের সুন্দর সমাধান বাতিল করে দেন। কে কে মুহাম্মদ তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন।
বারবি মসজিদ বিতর্ক বহুদিন আগেই মীমাংসা হয়ে যেত। মুসলমানরা বামপন্থি ইতিহাসবিদদের কাছে নিজেদের মগজ ভাড়া দেয়ার কারণে আজ এই দশা।
কেকে মুহাম্মদ বলেন, রোমিলা থাপার, বিপিন চন্দ্র, এস গোপাল যুক্তি দেখান বাবরি মসজিদের স্থলে কোনো মন্দিরকে ধ্বংস করা হয়নি। এরা তথ্য প্রমাণের জন্য ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, আরএস শর্মা, ডিএন ঝাঁ, সুরাজ বেন এবং আকতার আলিকে সমর্থন করেন। ফাস্টপোস্ট নামক একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কেকে মুহাম্মদ এসব বলেন।
কেকে মুহাম্মদ বলেন, বাবরি মসজিদের স্থান থেকে একটি পিলার পাওয়া যায়নি। ১৪ টি পিলার বাবরি মসজিদের স্থান থেকে খোদাই করে পাওয়া গেছে। প্রত্যেক পিলার ১১ শতাব্দী থেকে ১২ শতাব্দীর। মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ওপর দাড় করানো হয়েছে বাবরি মসজিদ। বিভিন্ন ইংরেজি দৈনিকে এ সত্য কথা আমি বহুবার লিখে জানিয়েছি।
কেকে মুহাম্মদ বলেন, এই বামপন্থি লেখকরাই এলাহাবাদ হাইকোর্টকে ভুল বুঝিয়েছে। তারাই সেই আদালতে বলেন, কুতুবমিনার ও তাজমহল হিন্দু মন্দিরের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
কেকে মুহাম্মদ ২০১২ সালে আর্কেওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি এখন হায়দ্রাবাদে আগা খান ট্রাস্ট প্রজেক্টের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।