ঢাকা, মে ১৯, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:০১:০২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

কলকাতায় সভা করল হিন্দু সংহতি

| ৩ ফাল্গুন ১৪২২ | Monday, February 15, 2016

কলকাতায় সভা করল হিন্দু সংহতি

কলকাতা : আজ অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬’হিন্দু সংহতি ‘ তাদের অষ্টমবার্ষীকী প্রতিষ্ঠা বর্ষের পূণ্যতিথিতে কলকাতার রাণী রাসমণি রোডে এক সামাজিক সৃজনশীলতা পূর্বক সর্বসাধারণের জন্য এক ধর্মীয় সভার আয়োজন করে।ভারতমাতা -র সম্মুখে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে গুরুমন্ত্র উচ্চারণের সাথে এই সভা-র সূচনা করেন তেজস্বানন্দজী মহারাজ (উপাধ্যক্ষ ভোলাগিরি আশ্রম,হরিদ্বার),প্রদীপ্তানন্দজী মহারাজ(ভারত সেবাশ্রম সংঘ) এবং তপন ঘোষ মহাশয় (সর্বভারতীয় সভাপতি,হিন্দু সংহতি )।এই অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রাসোঁয়া গঁতিয়ে(ফ্রান্সের সাংবাদিক, বর্তমানে ভারতের পন্ডিচেরি-র অরবিন্দ আশ্রম নিবাসী)।এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন, রভিজোত সিং (জাতীয়তাবাদী কবি, দিল্লি ),ডাঃ নীলমাধব দাস (তরুন হিন্দু, জামসেদপুর) সহ বিশিষ্ট গুণিজনেরা।

আজকের সভা উপলক্ষে হিন্দু সংহতি-র সর্বভারতীয় সভাপতি মাননীয় তপন বাবু ব্যক্তিগত সাক্ষাত্কারে বলেন,” হিন্দু সংহতি বহু বছর ধরে হিন্দু ধর্মের রক্ষার্থে এবং হিন্দুদের স্বার্থে বহুবিধ জনহিতকর কাজ করে এসেছে এবং আগামী দিনেও করে যাবে নিরলস, নিঃস্বার্থ ও নির্ভীকভাবে।আজকের এই সমাবেশে রাজনৈতিক চরিতার্থ ভূলে কাতারে -কাতারে যে এত হিন্দুদের জনসমাগম ঘটছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তা আবারও প্রমাণ করে দিল রাজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘আমরা ভয় করব না করব না/মরার আগে মাটির একটি কণাও ছাড়ব না……..’”।

কলকাতায় সভা করল হিন্দু সংহতি
কলকাতায় সভা করল হিন্দু সংহতি
আজকের বিশেষ অতিথি, মূলতঃ ফ্রান্সের সাংবাদিক এবং বর্তমানে ‘ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর দীর্ঘদিন
ধরে কর্মরত মাননীয় ফ্রান্সোয়া গঁতিয়ে মহাশয় তাঁর বক্তব্যে বলেন সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে,”ভারতবর্ষের হিন্দু ধর্ম চির সনাতনী।এর শুরু কোথায় আর শেষ কোথায়, তা হয়তো কেউই হরফ করে বলতে পারবেন না।আমি মূলতঃ ফ্রান্স নিবাসী একজন সাংবাদিক ।কিন্তু বহু বছর ধরে আমি “ভারতীয় ইতিহাস এবং ধর্মীয় সংস্কৃতির ওপর” কর্মসূত্রে ভারতে আছি।যখন প্রথমবার কাশ্মীর-এ গিয়েছিলাম ওখানকার হিন্দু -দের করূণ পরিণতি দেখে আমি একজন জন্মসূত্রে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান হওয়ার পরেও বিচলিত হয়ে পরি এবং কর্মসূত্রে পন্ডিচেরি-তে থাকতে থাকতেও আমার একই অভিজ্ঞতা হয়। অবাক হই , হিন্দু নামক এই সনাতনী সংস্কৃতি-কে অনেকে আছেন যাঁরা নিজেদের স্বার্থ -কে বজায় রাখতে এই ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করছে ,হত্যা করছে প্রতিনিয়ত।যার উদাহরণ ইতিহাসের পাতায় বহু রয়েছে “।
সর্বশেষে তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষ লগ্নে দৃঢ় অঙ্গীকার করেন দৃপ্ত কণ্ঠে “যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিন তিনি হিন্দুত্বের স্বার্থে হিন্দু ধর্মের ইতিহাসের কথা, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচারের কথা তুলে ধরবেন সমাজের বুকে তাঁর লেখনীর মধ্যে দিয়ে নির্ভীকভাবে”।সর্বসাধারণের বোঝার সুবিধার্থে তাঁর বক্তব্যের বাংলা অনুবাদ করেন মাননীয় অনিমিত্র চক্রবর্তী মহাশয় ।

‘হিন্দু সংহতি ‘-র সভ্যবৃন্দ থেকে শুরু করে সকলেই তপন ঘোষ মহাশয় -এর সাথে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত একসাথে চলার প্রতিঞ্জা করেন এই অনুষ্ঠানে-র মধ্যে দিয়ে ।