সংঘ পরিবারের শাখা সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে কলকাতা শহর ভরিয়ে দেয়া হয়েছে পোস্টারে। আগামী শনিবার কলকাতার বুকে এই সংগঠনের সম্মেলন উপলক্ষ্যেই দেয়া হয়েছে এই পোস্টার। আর তাতেই লেখা হয়েছে, আমরা সবাই হিন্দু। আরএসএসের একটি শাখা সংগঠনের এমন কর্মকান্ড ঘিরে প্রশ্নের মুখে মোদী সরকারও। শহিদ মিনারের সভায় যোগ দিতে আসছেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত এবং অশোক সিঙ্ঘল ও প্রবীণ তোগাড়িয়ার মতো বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগঠকরাও। উদ্যোক্তাদের আশা, অন্তত পঞ্চাশ হাজার লোক আসবেন সভায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দুহাজার ষোলোয় এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলই এখন বিজেপির পাখির চোখ। শাখা সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এমন বড়োসড়ো সভার আয়োজনও সেকথা মাথায় রেখেই। কিন্তু শহরজুড়ে তারই প্রচারে হিন্দুত্বের আস্ফালন ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ধর্মনিরপেক্ষতাই ভারতীয় সংবিধানের মূল সুর। সেখানে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিরই সহযোগী একটি সংগঠনের এই মনোভাবের প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের অভিযোগ তুলেছেন বামপন্থীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্তারা অবশ্য নিজেদের যুক্তিতেই অনড়। তাই প্রচারেই হিন্দুত্বের জিগির।