ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:২৫:৩৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

এটাই সুচি’র ‘শেষ সুযোগ’: জাতিসংঘ মহাসচিব

| ২ আশ্বিন ১৪২৪ | Sunday, September 17, 2017

ঢাকা : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আজ বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বন্ধে এখন এটাই সুচি’র ‘শেষ সুযোগ’। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় সুচির নির্লিপ্ততায় বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনকে সামনে রেখে বিবিসি’র হার্ডটক প্রোগ্রামে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘তিনি (সুচি) যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনেন, তবে দুঃখজনক ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে ভয়াবহ আকারে রুপ নিবে, যা ভবিষ্যতে আর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না বলে আমি মনে করি।’
সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান হত্যাকা- বন্ধে দেশটিকে চাপ দেয়া প্রয়োজন।’
কার্যত মিয়ানমারের এই নেত্রী ইউএনজিএ-তে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নিপীড়নের ঘটনায় সুচি’র নির্লিপ্ততা বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই সেনা অভিযানের কারণে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনাকে ব্যাপকভাবে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর কথা সরাসরি উল্লেখ না করে গুতেরেসের দেয়া এই মন্তব্যটিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশের দাবির প্রতি পুনরায় সমর্থন জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে দেয়া উচিত। কারণ বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল দেশ বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ শরণার্থী ¯্রােতের বোঝা বহন করছে।
গুতেরেস আরো বলেন, এটা পরিস্কার যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ‘এখনো দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে’।