ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:১০:৪৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

এই শিব মন্দির হঠাৎ হঠাৎ সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যায়। পড়লে শিউরে উঠবেন

| ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Tuesday, June 14, 2016

the disappearing shiva temple of gujrat

এই সেই আশ্চর্য মন্দির

ঈশ্বরকে যে কোনও কোনও ভাগ্যবানেই কেবল ‘দেখিবারে পায়’, সে কথা ভক্তমাত্রেই জানেন। কিন্তু যদি আপনাকে বলা হয় যে, ভগবানের মন্দিরও মধ্যে মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে, তবে কী হবে আপনার প্রতিক্রিয়া ? হ্যাঁ, সেরকম মন্দিরও রয়েছে, আর সেটাও এই ভারতের মাটিতেই।

গুজরাটের কাভি কাম্বোইয়ের স্তম্ভেশ্বর মহাদেব নামের শিব মন্দিরটির বয়স প্রায় ১৫০ বছর। আরব সাগর আর ক্যাম্বি উপসাগরের মাঝামাঝি এর অবস্থান। আপাতদৃষ্টিতে এই মন্দিরের মধ্যে কোনও বিশেষত্ব নেই। কিন্তু এর বিশিষ্টতা টের পাওয়া যায়, যখন সমুদ্রে জোয়ার আসে। কারণ তখন সম্পূর্ণ সমুদ্রের জলের তলায় চলে যায় এই মন্দির। আবার জোয়ার চলে যাওয়ার পর যখন জলস্তর নামতে শুরু করে, তখন একটু একটু করে জল থেকে মন্দিরটি জেগে ওঠে ।

অর্ধনিমজ্জিত মন্দির

সমুদ্রের জলে মন্দিরের সম্পূর্ণ নিমজ্জন এবং তারপর আস্তে আস্তে তার জলমুক্তির দৃশ্য— স্বভাবতই এক অলৌকিক অভিজ্ঞতা পর্যটকদের কাছে। দূর দূরান্ত থেকে পর্যটক ও ভক্তরা এই দৃশ্য দেখার জন্য উপস্থিত হন মন্দিরে। এই মন্দিরের রীতি হল, ভক্তরা সকাল সকাল চলে যান মন্দিরে, পূজার্চনা সেরে নেন। তারপর শুরু‌ হয় তাঁদের অপেক্ষা। সেই সময়টা কেউ কেউ সমুদ্রের শোভা উপভোগ করেন, কেউ বা মন্দিরে বসেই ঈশ্বরচিন্তায় নিমগ্ন হন। তারপর জোয়ারের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে আসতে থাকে মন্দির চত্বর। ভক্ত ও দর্শনার্থীরা নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। তাঁদের চোখের সামনে শুরু হয়ে যায় আশ্চর্য প্রাকৃতিক লীলা। জোয়ারের জল বাড়তে বাড়তে গ্রাস করে ফেলে পুরো মন্দিরটাকেই। তখন সেদিকে তাকালে মন্দিরের অস্তিত্ব পর্যন্ত চোখে পড়ে না। কিছুক্ষণ কাটে এইভাবে। তারপর আবার সরে যেতে থাকে জোয়ারের জল। জলের উপরে প্রথমে দৃশ্যমান হয় মন্দিরের চূড়া। তারপর আস্তে আস্তে গোটা মন্দিরটাই জেগে ওঠে জল থেকে। সাময়িকভাবে মন্দিরটি মানবদৃষ্টির সম্পূর্ণ আড়ালে চলে যায় বলেই একে অনেকে ‘অদৃশ্য মন্দির’ বলে থাকেন।

অর্ধনিমজ্জিত শিবলিঙ্গ

ভক্তেরা গোটা বিষয়টিকেই ঐশ্বরিক লীলা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তাঁদের ধারণা, স্বয়ং ব্রহ্মা এইভাবেই প্রকৃতির মাধ্যমে মহাদেবের জল-অভিষেক ঘটিয়ে থাকেন। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, বিষয়টি সাধারণ প্রাকৃতিক নিয়ম মাত্র। তবে ঘটনার নেপথ্য কারণ যা-ই হোক, প্রতিদিন এইভাবে সমুদ্রজলে নিমজ্জিত হওয়ার পরেও মন্দির ও তাঁর অভ্যন্তরস্থ শিবলিঙ্গটি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়ে গিয়েছে, এটাও যে কম বিস্ময়কর ঘটনা নয়, তা মানছেন বিজ্ঞানীরাও।