নিজস্ব প্রতিবেদন | জুন ১৯, ২০১৬ Share it on এই মন্দিরের রহস্যময়তা অন্যত্র নিহিত। যে ষাঁড়ের মূ্র্তিটি সবার আগে নজরে এসেছিল বাসিন্দাদের, সেই মূ্র্তিটি ছিল আসলে শিবের সহচর নন্দীর মূ্র্তি। সেই মূর্তির মুখে জমে থাকা মাটি পরিষ্কার করতেই দেখা যায়, নন্দীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একটি ক্ষীণ জলধারা।
১৯৯৭ সালের কোনও এক সকালবেলার ঘটনা। বেঙ্গালুরুর মাল্বেশ্বরম এলাকার বাসিন্দাদের কাছে দিনটা শুরু হয়েছিল আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই। কিন্তু দিনটির বিশিষ্টতা একটু পরেই বোঝা গেল যখন বিখ্যাত মল্লিকার্জুন স্বামী মন্দিরের সামনের জমিটিতে কোনও একটি নির্মাণকাজের প্রয়োজনে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হল। কয়েক হাত মাটি খুঁড়তেই কোদাল ঠেকল শক্ত কোনও জিনিসে। মাটি সরাতে পাওয়া গেল এক ষাঁড়ের মূ্র্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি খবর দিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এসে গভীরতর খননকার্য চালিয়ে মাটির তলা থেকে তুলে আনলেন একটি আস্ত শিবমন্দিরকে। গবেষণা করে জানা গেল, এই মন্দির ৪০০ বছর আগে তৈরি। মন্দিরটি পরিচিত হয় নন্দীকেশ্বর বা দক্ষিণমুখ নন্দীতীর্থ মন্দির নামে।
ভারতের মতো ঐতিহাসিক সমৃদ্ধিসম্পন্ন একটি দেশে এরকম অদ্ভুতভাবে একটি প্রাচীন মন্দিরের আবিষ্কার খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। কিন্তু এই মন্দিরের রহস্যময়তা অন্যত্র নিহিত। যে ষাঁড়ের মূ্র্তিটি সবার আগে নজরে এসেছিল বাসিন্দাদের, সেই মূ্র্তিটি ছিল আসলে শিবের সহচর নন্দীর মূ্র্তি। সেই মূর্তির মুখে জমে থাকা মাটি পরিষ্কার করতেই দেখা যায়, নন্দীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একটি ক্ষীণ জলধারা। আরও মাটি খোঁড়ার পরে দেখা যায়, নন্দীর মূর্তিটির সামনে ফুট দশেক নীচে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ। নন্দীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা জল সোজা এসে পড়ছে সেই শিবলিঙ্গের উপর। শিবলিঙ্গের গা ধুইয়ে দিয়ে সেই জল এসে জমা হচ্ছে আরও নীচে অবস্থিত একটি পুকুরে (সেই পুকুরের বর্তমান নাম কল্যাণী)। আশ্চর্যের বিষয় হল, নন্দীর মুখ থেকে যে জলধারা বেরোতে শুরু করেছিল সেই ১৯৯৭ সালে সেই জলধারা আজও বন্ধ হয়নি। নিরন্তর জল ঝরে চলেছে নন্দীর মুখ থেকে।