ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:১৬:১৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

ইসরায়েলি আদলে নির্যাতিত হিন্দুদের জন্যে ক্যাম্প খুলছে ভারত

| ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Thursday, June 9, 2016

snap shot

ইসরায়েলের আদলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতিত হিন্দুদের ভারত দীর্ঘ সময়ের জন্য ভিসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খোলা হচ্ছে ক্যাম্প। ইকোনোমিকস টাইমসকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি বলেছেন, হিন্দুরা বিশ্বের যে প্রান্তেই নির্যাতনের  শিকার হবে ভারতে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। রাজনাথের ওই ঘোষণার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, ইউপি, ছত্তিশগড় ও মহারাষ্ট্রের ১৬টি জেলা প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ১৬ আগস্টের মধ্যে শরণার্থী হিন্দুদের দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য ভিসা এবং নাগরিকত্ব দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিশ্বের নানা প্রান্তে নির্যাতনের শিকার হিন্দুদের ভারতে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি বলতে গেলে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারেই ছিল। ভারতের এই নীতি ইসরায়েলের নীতির অনুরূপ। ইসরায়েল সারা বিশ্বের নির্যাতিত ইহুদিদের জন্য এই নীতি চালু করে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপি ঘোষণা দিয়েছিল নির্যাতিত হিন্দুদের জন্য ভারত হল ‘প্রাকৃতিক হোম’। ভারত তাদের জন্য উন্মুক্ত। ভারতে তাদের আশ্রয় মিলবে। তাদের ভিসা-নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

রাজ্যগুলোর সাথে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৩ জুন থেকে ২৭ জুলাই সময়ের মধ্যে বিশেষ ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই ক্যাম্পে বৈঠক করবে এবং শরণার্থীদের সমস্যাবলী সম্পর্কে অবহিত হবে।

প্রকাশ, গুজরাটের আহমদাবাদ, গান্ধীনগর, রাজকোট, পাঠানকোটে বেশি সংখ্যক ক্যাম্প খোলা হবে। মধ্যপ্রদেশে বেশ কিছু শরণার্থী ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছে। বিজেপি নিয়ন্ত্রিত এই রাজ্যের ভূপাল ও ইন্দোরে ১৫-১৭ জুনের মধ্যে আশ্রয় শিবির খোলা হবে। তারা যাতে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারে এবং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আনুক‚ল্য পায় সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। প্যান কার্ড,আধার কার্ডও তাদের প্রদান করা হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউপির একমাত্র লক্ষেèৗতে একটি মাত্র ক্যাম্প করা হবে। দিল্লিতেও মাত্র একটি ক্যাম্প থাকবে। মহারাষ্ট্রে থাকবে ৪টি ক্যাম্প। এগুলো হবে নাগপুর,পুনে,মুম্বাই ও থানেতে। বিজেপির শাসনাধীন রাজস্থানের জয়পুর, যোধপুর,জইসালমিরে ক্যাম্প খোলা হবে।

গত বছরের আগষ্টে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছিল যে, ভারত সরকার নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ সংশোধন করতে যাচ্ছে।এই আইনে অবৈধ শরণার্থী বিষয়ক ধারায় পরিবর্তন আসবে। ফলে শরণার্থী হিন্দুদের জন্য নানা ধরণের সুযোগ দিয়ে আইন আসছে।