ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:৩২:২২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

আটলান্টিক সিটিতে রথযাত্রা

| ৫ আষাঢ় ১৪২৩ | Sunday, June 19, 2016

রথযাত্রার দৃশ্য

যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে রথযাত্রা। ১৮ জুন শনিবার খিল ধরা দুপুরে সূর্য দেবতাকে মাথার ওপর রেখে ভক্তকুলের পদচারণায় মুখরিত হতে থাকে সিটির ঐতিহাসিক বোর্ড ওয়ার্ক। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঊর্মিমালার শব্দ তরঙ্গকে ছাপিয়ে ইথারে ভেসে আসে হরিনাম সংকীর্তনের সুললিত সুর ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, হরে রাম’। অদ্ভুত এক ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে মন-প্রাণ। আর এসবের উপলক্ষ জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। যার আয়োজক ইসকন অব সেন্ট্রাল নিউজার্সি।

রথযাত্রার দৃশ্যমেঘে মেঘে বেলা বাড়ে, পায়ে-পায়ে বাড়ে ভক্তকুলের ভিড়। দুপুর তিনটার পর রথের দড়িতে ভক্তকুলের হাতের আলগা টান পড়তেই সচল হয় রথের চাকা। সঙ্গে সঙ্গে ঢোল-খোল, মৃদঙ্গের আওয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাজারো কণ্ঠের সম্মিলিত কোরাসে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, হরে রাম। আর তা অপূর্ব এক সুর মূর্ছনার সৃষ্টি করে। বোর্ড ওয়ার্কের নিউজার্সি অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হওয়া রথের গন্তব্যস্থল ছিল কেনেডি প্লাজা। ধীর গতিতে রথ এগিয়ে চলে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভক্তদের কাফেলা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। বোর্ড ওয়ার্কে বেড়াতে আসা মার্কিনসহ ভিনদেশি পর্যটকেরা নান্দনিক এই আয়োজনে অভিভূত হয়ে পড়েন। তাদের চলার গতি যায় থেমে। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কেউ কেউ শরিক হন রথের কাফেলার সঙ্গে। শুদ্ধ-অশুদ্ধ উচ্চারণের সংমিশ্রণে তারা হরিনাম সংকীর্তনে কণ্ঠ মেলান। আবেগে-উচ্ছ্বাসে-আনন্দে ভক্তকুল নেচে-গেয়ে একাকার হয়ে যায়। রথ টানতে টানতে কাফেলার মাঝে বিতরণ হতে থাকে হরেক পদের ফল-ফলাদি, মিষ্টিসহ হরেক রকমের উপাদেয় প্রসাদ। পথ চলতি বিদেশিরাও তা থেকে বাদ পড়েন না।
রথের চাকা ঘুরতে ঘুরতে এক সময় তা এসে থামে কেনেডি প্লাজায়। যেখানে আগে থেকেই চলছিল অন্যরকম এক মহাযজ্ঞ। উন্মুক্ত মঞ্চে হরিনাম সংকীর্তন, ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি চলছিল মহাপ্রসাদ বিতরণ। প্রসাদ হাতে ভক্তরাজাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এই অনুষ্ঠান উপভোগ করে ও সঙ্গে সঙ্গে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করে উদরপূর্তিও করে। বিদেশিদেরও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করতে ও তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেও দেখা যায়। বিদেশিদের অনেককে আগ্রহভরে এই রথযাত্রা সম্পর্কে ধারণা নিতে এবং মন্ত্র জপতেও দেখা যায়।
এই রথযাত্রার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জগন্নাথ দেবের পূজার্চনা, হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা, নাটক, ইত্যাদি।
প্রসাদ বিতরণ

আটলান্টিক সিটিতে ২০০৬ সাল থেকে এই রথযাত্রা উদ্‌যাপিত হচ্ছে। দিনে দিনে এর কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। রথযাত্রার মহাযজ্ঞ যাদের সার্বিক দেখভাল ও নেতৃত্বে সম্পন্ন হয়েছে তারা হলেন মধুপতি দাস, দেবকি নন্দন দাস ও সুরজিৎ চৌধুরী।