ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:২১:৩৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

পূর্ব লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল জিম্মি চুক্তিতে হামাসকে রাজি করাতে মিসর ও কাতারের দ্বারস্থ বাইডেন দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চীনের গাজা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে রমজানে মুসলমানদের আল আকসায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ গাজায় তুমুল যুদ্ধ ॥ চলছে যুদ্ধবিরতির বৈঠক জর্ডানে মার্কিন সৈন্য হত্যা ॥ দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে জাতিসংঘ দূতদের সাক্ষাত জি৭ নেতাদের ভিডিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাইডেন ও অনিশ্চিত

অন্য পাকিস্তান! শিবরাত্রিতে হিন্দুদের নিরাপত্তায় মন্দিরের দায়িত্বে মুসলিমরাই

| ৩ ফাল্গুন ১৪২৪ | Thursday, February 15, 2018

ইসলামাবাদঃ  যে দেশে মোটেই সুরক্ষিত নয় হিন্দুরা, সেই দেশের খাইবার-পাখতুনখাওয়ার মানুষজন সত্যিই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির তুলে ধরলেন গোটা বিশ্বের সামনে।  এই অঞ্চলে শিবরাত্রির পর থেকে তিন দিন ধরে চলে উতসব।  প্রচুর হিন্দুপ্রাণ মানুষ এখানের মন্দিরগুলিতে আসেন।  পুজো দেন।  তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পেশোয়ারের একাধিক মন্দিরে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশকর্মীদের। যারা সবাই মুসলিম! উতসব শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরগুলিতে দাঁড়িয়ে কড়া পাহারা দিলেন এলাকার মুসলিম থেকে পুলিশকর্মীরা।

একাধিকবার পাকিস্তানের মাটিতে আক্রন্ত হয়েছেন সে দেশের সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ও হিন্দুরা।  উতসব আসলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় সেখানকার মানুষজনের।  আর সেজন্যেই এবার দেশজুড়ে শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  করাচি, ইসলামাবাদ সহ দেশের একাধিক জায়গায় মহা শিবরাত্রি পালন করা হচ্ছে।  শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে পেশোয়ারের জান্দা বাজার এলাকার মন্দিরগুলিকে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।  পুজো দিতে ভিড় করছেন শয়ে শয়ে পূর্ণার্থী।

শহরের করিমপুরা ইউনিয়ন কাউন্সিলের নাজিম গুলাম মোস্তাফা সংবাদ মাধ্যমে জানান, শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে এলাকার মন্দিরগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এখানে কখনও শিবরাত্রি পালন বন্ধ হয়নি।  এমনকি ১৯৯২ সালে যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তখনও এখানে শিবরাত্রি পালন বন্ধ হয়নি।  মোস্তাফা আরও বলেন, কয়েক শতাব্দি ধরে এখানে হিন্দু-মুসলিমরা একসঙ্গে বাস করছে।  তাই এখানে হিন্দুদের এই ধর্মীয় উৎসবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের।  আর সেজন্যেই এই ব্যবস্থা!