ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:৩৬:৩৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

‘২০১৭ সালের পর দেশে আর বাঁশের সাঁকো থাকবে না’

| ১৮ ফাল্গুন ১৪২২ | Tuesday, March 1, 2016

‘২০১৭ সালের পর দেশে আর বাঁশের সাঁকো থাকবে না’

প্রতিবেদক ০১ মার্চ ২০১৬, ৫:২৮ অপরাহ্ন

Print ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ‘২০১৭ সালের মধেই দেশের সমস্ত বাঁশের সাঁকো ভেঙে কালভার্ট অথবা ছোট ছোট সেতু নির্মাণ করতে হবে। ১৭ সালের পর দেশে আর বাঁশের সাঁকো থাকবে না।’

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জর‍াজীর্ণ ডিসি অফিস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিসি অফিসে সব ধরনের মানুষ নানা প্রয়োজনে আসেন। তাই আধুনিক সব সুযোগ সুবিধার সমন্বয়ে ডিসি অফিস নির্মাণ করতে হবে। এখানে যেন সবাই ভালোমতো বসতে পারেন। এছাড়াও নারী-পুরুষের জন্য আলাদা মানসম্মত ল্যাট্রিন নির্মাণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে আলোচনা হয়, দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সব মানুষের টিনশেড বাসা থাকবে। ছনের ঘরেও কেউ বসবাস করবেন না। আশ্রয়হীনদের বাসা নির্মাণে দেশের সব মানুষ এগিয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় বৈঠকে।

বৈঠক শেষে ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সমালোচনা করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। মাহফুজ আনাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেউ কিছু তথ্য দিলো আর যাচাই না করেই ছাপলেন? এটা হতে পারে না। প্রতিটা বিষয়ের একটা সীমা আছে, এটা অতিক্রম করা উচিত নয়। দেশের সব কিছুই রাজনীতিবিদদের হাত ধরে এসেছে। তাদের বাদ দিয়ে কিছু হবে না।

একনেক সভায় মোট ১২টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ৬ হাজার ৬শ’ ৫০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য মাত্র ৯শ’ ৫৬ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। গ্রামীণ রাস্তায় ছোট ছোট ১২ মিটার দীর্ঘ সেতু-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩ হাজার ৬শ’ ৮৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।

উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প; এর ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। বৃহত্তর রাজশাহী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ৩৯৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

২৭৫ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পও অনুমোদন পায় সভায়। সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভূলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৩৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

১০৫ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জাতীয় মহাসড়ক এন-৮ এর ভূরঘাটা-বরিশাল-লেবুখালী সেতু পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হবে। মাদারীপুরে সরকারি অফিসসমূহের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা।

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। জাতীয় ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও রেফারেল সেন্টার স্থাপন প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ১৯৪ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা।

১৫১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পও চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। লালকুঠি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প; এতে ব্যয় হবে ৪১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২১২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলে (বরিশাল ও পটুয়াখালী) ব্রিজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রথম দফায় ৭৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন ২২ মার্চ। ১২টির মধ্যে ৩টি প্রকল্প ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রিক, এতে করে ভোটে প্রভাব বিস্তার করবে কী?- এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে এক সঙ্গে চলবে। প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে রাখলাম ভোট হয়ে গেলে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।