কল্যান কুমার চন্দ’র বিশেষ প্রতিবেদন: রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলায় একজন হিন্দু বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিল প্রশাসন।
সম্পুর্ণ বিনা নোটিশে অবৈধভাবে নিজের ভিটে-বাড়ি থেকে সপরিবারে উচ্ছেদ করা হলো মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল সেনকে।
তাদের চরম মানষিক নির্যাতন করে ঘরের সকল ব্যাবহৃত জিনিস পত্র, আসবাব পত্র, অমানবিকভাবে ছুঁড়ে ফেলে ধ্বংস করা হয়েছে রাস্তায়।
শুধু তাই নয়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সবচাইতে সম্মানের অর্জন সেই মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট, পরিচয় পত্র এবং সম্মাননা স্মারক চরম অবমাননা করে জুতার সাথে মিলিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল বাবু অশ্রু ও আবেগসিক্ত কণ্ঠে অভিযোগ করে মাইনরেটি রাইটসকে বলেছেন, তিনি তার পরিবারসহ আশেপাশের উপস্থিত স্থানীয় অনেকে প্রতিবাদ এবং বাধা দিতে গেলে তাদের ১৪৪ ধারার ভয় এবং হুমকি দেখিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি ভিডিও করার সময় প্রশাসনের লোকেরা মোবাইল পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক চরম এই অমানবিক, নিন্দনীয় জঘন্য, বর্বর এ কাজটি ঘটেছে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালি উপজেলার ঘাগরা এলাকায়।
মুক্তিযোদ্ধা অনিল সেন ওই জমিতে এলাকার হেডম্যানের সুপারিশ ক্রমে ৩৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার যদি এই পরিণতি হয় তাও প্রশাসন দ্বারা, বাংলাদেশে এর চাইতে দূঃখের এবং লজ্জার আর কি আছে? উনি হিন্দু, সংখ্যালঘু, নন অফিশিয়ালি এদেশের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক, এটাই কি অনিল বাবুর অপরাধ?
একবার ভাবুন, যেখানে একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার ভিটে-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার আগে এক ঘন্টাও সময় দেওয়া হয় না, সেখানে সাধারণ হিন্দুদের কি অবস্থা?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় আমরা আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করি।
৩০০০ পিস ইয়াবাসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রী আটক
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক ফন্নু ও তার স্ত্রী রালিমা বেগম রাখিকে সখীপুর থানা পুলিশ তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে। এই ঘটনার জেরে ফজলুল হক ফন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ‘ফজলুল হক ফন্নু উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দীর্ঘদিন যাবৎ দলীয় কর্মকাণ্ডে অনুপস্থিত থাকার দায়ে এক জরুরি সভার মাধ্যমে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, গত বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সখীপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফজলুল হক ফন্নুর স্ত্রী রালিমা বেগমকে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাসার সামনে থেকে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে। মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ফজলুল হক ফন্নুকেও আটক করা হয়।
এ ঘটনায় সখীপুর থানার এসআই শামছুল হক বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম তুহিন আলী বলেন, তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারী রালিমা ও তার স্বামী ফজলুল হক ফন্নুকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আদালতের কাছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছেন।