অনলাইন ডেস্কঃ
ফৌজদারি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গোবিন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চৌধুরী সামসুল আরেফিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাহিমা বাররীন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট ফাহিমা বাররীন জানান, চট্রগ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী কমল কুমার নাথ ২০১১ সালে কোতোয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা একটি ইয়াবা মামলার সাক্ষী ছিলেন। ওই মামলার আসামি অশোক বিশ্বাস সাক্ষ্য না দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে কমল কুমার নাথকে হুমকি দিতেন। এর মধ্যে ২০১৫ সালে তিনি সাক্ষী দিলে হুমকির মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে একই বছরের ১৪ অক্টোবর কমল কুমার নাথ আসামি অশোক কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন।
কোতয়ালী থানার পুলিশ কর্মকর্তা শিবু প্রসাদ চন্দ্র সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি তদন্ত করে একটি মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপন করলে কমল কুমার এর বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। তখন চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম কোতোয়ালি থানার ওসিকে বিষয়টি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে একই ধরনের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে কমল কুমার পুনরায় নারাজির উদ্যোগ নেন এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর সিকিউরিটি সেলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং তার ও পরিবারের নিরাপত্তা প্রদানের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।
আবেদনে কোনো সাড়া না পাওয়ায় এবং হুমকি অব্যাহত থাকায় গত ২৭ জুন নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ব্যবসায়ী কমল কুমার নাথ হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ রুল জারি করেন।