ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:৪১:৩৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

‘বাংলাদেশকে নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দিব না’

| ৩ পৌষ ১৪২৪ | Sunday, December 17, 2017

 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা সৃষ্টি করে তাদের মায়া থাকে, যারা উড়ে এসেজুড়ে বসে তাদের থাকে না। বাংলাদেশকে নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দিব না, খেলতে পারবে না।’

আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ওই সভার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন মুখে তারা জনগণের কাছে ভোট চাইবে? তারা গণহত্যা করেছে, লুটপাট করেছে, জ্বালাও পোড়াও করেছে, মায়ের সামনে সন্তানকে হত্যা করেছে, স্ত্রীর সামনে স্বামীকে। দেশের বাইরে মানি লন্ডারিংয়ের খবরও পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে, এখন তাদের শপিং মলের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে যারা মুক্তিযোদ্ধা তাঁরা পথে বসল আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের ক্ষমতায় বসানো হলো। সেই সময়ে রাষ্ট্রদূত হলো কারা, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনি।

দেশের বাইরে তাহলে দেশের ভাবমূর্তি কোথায় থাকল? এসব ঘটনা স্বাধীন দেশে বিশ্বাসীরা কীভাবে মেনে নিতে পারে? স্বাধীনতার কথাও বলবেন আবার যুদ্ধাপরাধীর মদদদাতাদের নিয়ে দল গঠন করবে সেটা কীভাবে হতে পারে?  আমরা এ দেশকে এগিয়ে নিতে যাই আর তারা পেছনে টানে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা আবার স্বপ্ন দেখে ক্ষমতায় যাওয়ার, নির্বাচনে যাওয়ার। দেশের মানুষ যদি উন্নতি চান তাহলে তাদের ভোট দিতে পারে না।’

এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নানা সময়ের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৬৬ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একটার পর একটা মামলা।
সোহরাওয়ার্দীতেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এখানে দাঁড়িয়েই ১০ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন কীভাবে বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। ১০ জানুয়ারির আগে নানাভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে দেখেছি বঙ্গবন্ধুকে সবভাবে সাহায্য করতেন আমার মা। মা বাইরে যেতেন না। কিন্তু বাবার কাজে সবসময় তাঁকে পাশে দেখেছি। তিন বছর মাত্র সময় পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে চেয়েছিলেন দেশকে গড়ে তুলতে।’