ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:৩১:৫০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

‘দেশের ঐতিহ্যবাহী পর্যটনকেন্দ্রগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরুন’

| ৬ বৈশাখ ১৪২৬ | Friday, April 19, 2019

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবম ভ্রমণ ও পর্যটন মেলা উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ দেশের ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্রগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ঐতিহ্যসহ পর্যটনের আকর্ষণীয় স্থানগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৯ম বাংলাদেশ ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)-২০১৯ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলো বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানান।

বিদেশি পর্যটকরা আমাদের অতিথি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তারা যাতে নির্বিঘ্নে এবং আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারেন এবং বাঙালি আতিথেয়তায় মুগ্ধ হন, তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পর্যটনের অপার সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যটন শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, যা আজ বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নের অগ্রপথিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতোই পর্যটন বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।’

মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বিদেশি পর্যটক আগমন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন এরাইভল ভিসা প্রাপ্য দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করাসহ মিশনগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান করছে।’

ঢাকা শহরকে ২০১৯ সালের জন্য ‘ঢাকা দি ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম’ ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী করে তুলতে এ ধরনের মেলা ইতিবাচক অবদান রাখবে। এ ছাড়া উন্নত হবে বন্ধুরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক, বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প এবং সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থনীতি।’

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, এফবিসিসিআই, পর্যটন পুলিশ, পিএটিএ বাংলাদেশ চেপ্টার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের সহযোগিতায় ট্যুর অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করে।

মেলায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ অংশ নিয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- নেপাল, ভুটান, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিপাইন ও মালদ্বীপ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এতে বক্তব্য দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, টোয়াব পরিচালক (ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার) মো. তাসলিম আমিন শোভন প্রমুখ।

মেলায় ১৬০টি স্টল ও ১৫টি প্যাভেলিয়ন স্থাপন করা হয়েছে। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

পরে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেলায় বিভিন্ন স্টল ও প্যাভেলিয়ন পরিদর্শন করেন।