ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:২২:২৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

৪৯ বছরে প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ হিন্দু দেশত্যাগ করেছে অধ্যাপক আবুল বারকাত

| ২ শ্রাবণ ১৪২৩ | Sunday, July 17, 2016

 

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেছেন, শত্রু সম্পত্তি আইন অথবা অর্পিত সম্পত্তি আইনের মারপ্যাঁচে ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে বিষয়টি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি ও পুনঃসৃষ্টির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত। শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ২০১৬-২০ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও অর্থনীতি বিভাগ যৌথভাবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘কৃষি সংস্কারে রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। অর্পিত সম্পত্তি আইনের সমালোচনা করে অধ্যাপক বারকাত বলেন, শত্র“ সম্পত্তি আইন স্বাধীনতার পরেও বাতিল ঘোষিত হয়নি। নাম পরিবর্তন হয়েছে মাত্র। যার নাম দেয়া হয়েছে অর্পিত সম্পত্তি আইন। বিষয়টি অন্যের সম্পত্তি বেদখলের চেয়েও অনেক গভীরে। আবুল বারকাত বলেন, উন্নয়ন বলতে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার বুঝলে ভুল হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে দেশের প্রকৃত দারিদ্র্য হ্রাসের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থনীতির বৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দারিদ্র্য উচ্ছেদ করে না। বৈষম্য-অসমতাও দূর করে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে উল্টো বৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধির হার, বৈষম্য-অসমতা বৃদ্ধিরই সহায়ক হয়ে যায়। প্রবন্ধে তিনি বলেন, উন্নয়ন দর্শন ও সংশ্লিষ্ট নীতি-কৌশল এমন হতে হবে যা দারিদ্র্যের সব রূপ নিরসন করবে। সেইসঙ্গে অর্থনীতির বৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। সেক্ষেত্রে দেশের কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখতে হবে। তবেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে পারে। সমতল ও পাহাড়ি আদিবাসীদের সম্পত্তি অধিকার নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। এর আগে সকাল ৯টায় দিনব্যাপী এ সেমিনারের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রোভিসি অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। পরে দ্বিতীয় ও বিকাল ৩টায় সেমিনারের তৃতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়

তথ্য সূত্র-দৈনিক যুগান্তর