ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:৪৬:৫৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

২০২৪ সালের পর দেশে দারিদ্রতা থাকবে না : অর্থমন্ত্রী

| ২৬ ভাদ্র ১৪২৪ | Sunday, September 10, 2017

সিলেট : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এলাকা এখন উন্নত। গ্রাম ও শহরের মধ্যে এখন কোন পার্থক্য নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ সবক্ষেত্রে মানুষ সমান সুফল ভোগ করছে। ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশে দারিদ্রতা থাকবে না। শনিবার বেলা ২টায় সিলেটে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিকের ৪০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে নগরীর মেন্দিবাগে সীমান্তিক কমপ্লেক্স মাঠে এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দারিদ্রমুক্ত সুখি-সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে জাতিসংঘ ২০৩০ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশে তার বেশিরভাগই ২০২৪ সালের মধ্যে অর্জন করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, দারিদ্র্যতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে শতভাগ অর্জন হলেও সবসময় ৭শতাংশ মানুষ রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে চলে; এরমধ্যে বিশেষ করে প্রতিবন্ধি শ্রেণির লোকজন উল্লেখযোগ্য। এটা পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশেও আছে। ২০১৮ সালের মধ্যে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হবে আশা করে তিনি বলেন, যদিও ২০২০ সালে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। দু’বছর আগেই এ লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা সক্ষম হবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে সরকার। সরকারি ও বেরসকারি বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মানুষের দ্বোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসার অভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ভোগান্তির শিকার হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এনজিও গোষ্ঠির প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এনজিও সংস্থাগুলোর বিকাশ খুব বেশি। বাংলাদেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও কার্যক্রম রয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও সংস্থাগুলোর এই ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নার্সিং সেবা বিস্তৃত হচ্ছে। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকায় এটা আরো তরান্বিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের লোকজন এ সেবায় কাজ করছে। তাই, নার্সিং কলেজ বাড়ানো ও সেবা আরো বিস্তৃত করার দরকার রয়েছে। সীমান্তিকের নার্সিং কলেজসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব সম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংস্থাটি তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যথাযথভাবে পালন করছে। সীমান্তিক এখন একটি বড় প্রতিষ্ঠান। তারা জাতীয় সংগঠন হিসেবে সারাদেশে স্বীকৃত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য, পরিবার ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএমআরসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সৈয়দ মুদাচ্ছের আলী। সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী, জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক এতে বক্তব্য দেন।
এরআগে সকাল ১০টায় ধোপাদিঘীরপাড়স্থ বিনোদিনী হাসপাতাল থেকে মাছিমপুরস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির কমপ্লেক্স পর্যন্ত র‌্যালির মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপি অনুষ্ঠানমালার। বিকেলে একই স্থানে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।