গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। ছবি : এনটিভি
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘অপেক্ষা করুন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে অন্যায়ভাবে জেলে নিয়ে যে নির্যাতন করেছেন, তাঁকেও তার ফল ভোগ করতে হবে।’
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সারা দেশে জাতীয় পাটির সাংগঠনিক অবস্থা খুবই ভালো উল্লেখ করে মশিউর রহমানর রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পাটির জন্য সামনে আসছে সুদিন।
‘রংপুর সিটিতে বিজয়ের মাধ্যমে জাতীয় পাটি সারা দেশে নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়েছে। নেতাকর্মীদের মাঝে আশার সঞ্চার দেখা দিয়েছে।’
চকরিয়া উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কক্সবাজার শহর জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির (এরশাদ) সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, জেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান মুফিজ, সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমাউল হুসনা, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল আমিন প্রমুখ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে এখন অন্য আসামিদের যুক্তিতর্ক চলছে। এর আগে খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে তাঁর বক্তব্য রেখেছেন। সব কিছু মিলিয়ে মামলাটি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে, এই মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার ন্যূনতম কোনো সম্পর্কও নেই। সরকার রাজনৈতিক কারণে তাঁকে এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার জন্য।
যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, মামলাটি ওয়ান-ইলেভেনের সময়কার সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়ের করেছিল। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মামলার বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভরশীল।