ঢাকা, মে ৪, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৪১:১৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রায় পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা

| ১১ আষাঢ় ১৪২৪ | Sunday, June 25, 2017

হিন্দু সম্প্রদায়ের রথযাত্রায় পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা

হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় সর্বোচ্চ ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাঝধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামী ২৫ জুন হতে ৩রা জুলাই পর্যন্ত ৯ দিনব্যাপী রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান রথযাত্রা আগামী ২৫ জুন দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শেষ হবে। উল্টো রথযাত্রা আগামী ৩ জুলাই দুপুর আড়াইটায় ঢাকেশ্বরী মন্দির হতে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে এসে শেষ হবে। এছাড়া, ধামরাই, গাজীপুর, সিলেট, নওগাঁ, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, মৌলভীবাজার, মানিকগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে রথযাত্রা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক সভাপতিত্ব করেন।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিরাজমান ধর্মীয় সম্প্রীতি হাজার বছরের ঐতিহ্য।

তিনি বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে রথযাত্রা উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

আইজিপি বলেন, প্রতিটি মন্দিরের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের মাধ্যমে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপত্তা সচেতন হতে হবে। নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ জাগিয়ে তুলতে হবে।

সভায় সঠিক সময়ে রথযাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রথযাত্রায় আয়োজকদের সাথে সমন্বয় সাধন, যাত্রাপথে বিভিন্ন মোড়, জংশন, ফুটওভার ব্রিজে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন, রথযাত্রা মিছিলের সামনে পেছনে এবং উভয় পাশে, যাত্রা পথে রুফটপে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন, সিসিটিভি স্থাপন, হকার এবং সন্দেহভাজন লোকদেরকে প্রবেশ না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া, রথযাত্রায় ব্যাগ, পোটলা, প্রবেশ করতে না দেওয়া, বিক্ষিপ্তভাবে অলি-গলি থেকে আগত লোকদেরকে যোগদান করতে না দেওয়া, ইউনিফর্ম পুলিশ ও সাদা পোশাকে ফোর্স মোতায়েন করা, কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ, রথযাত্রার প্রবেশস্থল ও আশেপাশে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, মোটরসাইকেল ও সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি করা, মহিলাদের মহিলা স্বেচ্ছাসেবক/মহিলা পুলিশ দ্বারা তল্লাশি করা হবে।

বিদেশী নাগরিকদের রথযাত্রায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় রথযাত্রা পথে মাইক ব্যবহার না করা এবং রথ থেকে ফল, খাদ্য ছুঁড়ে না ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় হিন্দু নেতৃবৃন্দ রথযাত্রা উপলক্ষে পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, হিন্দুদের সকল ধর্মীয় উৎসব পালনকালে পুলিশ যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা এজন্য আইজিপি এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সভায় র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস্) ব্যরিস্টার মাহবুবুর রহমান, ডিআইজি (প্রশাসন) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিআইজি, সিটি এসবি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার, সিটিটিসি মোঃ মনিরুল ইসলাম, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিরেন।

এছাড়া ইসকন বাংলাদেশের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিশ্বর গৌরদাস ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক স্বামীবাগ আশ্রম ইসকন মাধব মুরারী দাস, সভাপতি কালী মন্দির রবিন দাশ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।