দেশের খবর
এ পাতার অন্যান্য সংবাদ
টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসিহিন্দু উত্তরাধিকার আইন
| ১৯ আষাঢ় ১৪২৩ | Sunday, July 3, 2016
হিন্দু আইন হিন্দুদের ধর্মীয় এবং ব্যক্তিগত আইন। এ আইন যারা জন্মসূত্রে হিন্দু, হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত, হিন্দু পিতা মাতার অবৈধ সন্তান এবং যে ক্ষেত্রে পিতা খ্রীষ্টান এবং মাতা হিন্দু সেই ক্ষেত্রে অবৈধ সন্তান যদি মায়ের কাছে হিন্দু আচার অনুযায়ী লালিত পালিত হয়, তবে এসব ক্ষেত্রে হিন্দু আইন প্রযোজ্য।বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে হিন্দুদের মধ্যে দু’ধরনের উত্তরাধিকার পদ্ধতি চালু রয়েছে। যথা-দায়ভাগ পদ্ধতি এবং মিতাক্ষরা পদ্ধতি। দায়ভাগ পদ্ধতি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে প্রচলিত আছে। দায়ভাগ মতে পিন্ডদানের অধিকারী ব্যক্তি মাত্রই মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী। যারা পিন্ড দিতে পারে তারাই মৃত ব্যক্তির ত্যাজ্য সম্পত্তির ওয়ারিশ বলা হয় । ভারতের অন্যান্য প্রদেশ এবং পাকিস্তানে মিতাক্ষরা পদ্ধতি প্রযোজ্য হয়ে থাকে ।
উত্তরাধিকারীদের ক্রমতালিকা:
উত্তরাধিকারীদের অধিকারের
স্বাভাবিকভাবে পুত্রই পিতার সমগ্র সম্পত্তির একক উত্তরাধিকারী হয়। পুত্র একাধিক হলে তারা সকলে মিলে পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পায়। যে পুত্র মৃত তার পুত্র অর্থাত্ পৌত্র উত্তরাধিকার পায়। পুত্র, পৌত্র এবং প্রপৌত্র যেহেতু সমভাবে পিন্ড দেবার অধিকারী তাই তারা উত্তরাধিকারী হয়। কিন্তু পুত্র জীবিত থাকলে তার পুত্র অর্থাত্ পুত্র পিন্ড দিতে পারেনা। এবং সে কারণে পুত্রের জীবমানে পৌত্র উত্তরাধিকার পায়না। প্রপৌত্রের ক্ষেত্রে ও একই কথা।
১৯৩৭ সনে সম্পত্তির উপর হিন্দু নারীর অধিকার আইন প্রবর্তিত হবার পর মৃতের বিধবা, পুত্রের বিধবা এবং পৌত্রের বিধবা উত্তরাধিকার পায়, এভাবে প্রথম যে ছয়জন মৃতের সম্পত্তির উত্তরাধিকার পায়, তারা হচ্ছে:
১. পুত্র
২. পৌত্র অর্থাত্ নাতি
৩. প্রপৌত্র অথাত্ নাতির পুত্র
৪. মৃতের বিধবা স্ত্রী
৫. মৃতের মৃত্যুর পূর্বে মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী [যিনি সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন তার আগে মৃত তার পুত্রের বিধবা স্ত্রী]
৬. মৃতের পুর্বে মৃত পুত্রের পুর্বে মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী [যিনি সম্পত্তি রেখে মারা গেছেন তার আগে তার মৃত পুত্রের এবং এর আগে ও মৃত পুত্রের বিধবা স্ত্রী]
পৌত্র ও প্রপৌত্রের ক্ষেত্রে প্রতিনিধিত্বের মতবাদ প্রচলিত। পুত্র জীবিত না থাকলে তার পুত্র অথাত্ প্রতিনিধিত্ব করে পুত্রের পুত্র। অথাত্ মৃতের পৌত্র বেঁচে না থাকলে তার পুত্র অথাত্মৃতের প্রপৌত্র তার প্রতিনিধিত্ব করে। এরা অংশ পিছু উত্তরাধিকার পায়।
বিধবাদের কথা বলা যায় যে, আগে পুত্র, পৌত্র প্রভৃতি থাকলে বিধবা আর কোন উত্তরাধিকার পেত না।
বর্তমানে অর্থাত্ ১৯৩৭ সনের সম্পত্তির উপর হিন্দু নারীর অধিকার আইন পাস হবার পর বিধবাবৃন্দ জীবন স্বত্ব উত্তরাধিকার পায়। এ আইন পাস হবার পর, বিধবা একের অধিক হলে সবাই একত্রে এক পুত্রের সমান অংশ জীবনসূত্র পায়। পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র কেউ না থাকলে মৃত স্বামীর সমস্ত সম্পত্তি তার বিধবা জীবন স্বত্বে পায়। বৈধ প্রয়োজনে বিধবার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে।
মৃতের বিধবা যেভাবে সম্পত্তি পায় মৃতের পুত্রের বিধবা বা তার পৌত্রের বিধবা বা প্রপৌত্রের বিধবা একইভাবে সম্পত্তি পায়। একটি উদাহরণ দেয়া গেল:
‘ক’ নামক একজন হিন্দু তার বিধবা স্ত্রী এবং পূর্বে মৃত পুত্রের এক বিধবা রেখে মারা যান৷ তার সম্পত্তি পাঁচ ভাগ হবে এবং ঐ পাঁচ জন সমান অংশে তা পাবে। ‘ক ‘তিন পুত্র, তার বিধবা স্ত্রী এবং পূর্বে মৃত পুত্রের এক পুত্র এবং তার মৃত পুত্রের বিধবা রেখে মারা যান৷ এখানে ক এর ত্যক্ত সম্পত্তি পাঁচ ভাগ হবে। প্রত্যেক পুত্র এবং তার ক এর বিধবা এই ৪ জনের প্রত্যেকে ১/৫ অংশ পাবে। অবশিষ্ট ১/৫ অংশ তার মৃত পুত্রের পুত্র ও বিধবার মধ্যে সমানভাবে অর্থাত্ এরা এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকে ১/১০ অংশ করে পাবে।
উপরে যে ছয়জনের কথা বলা হলো অথাত্ পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, বিধবা, মৃত পুত্রের বিধবা এবং মৃত পৌত্রের বিধবা, এরা উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে গন্য। এরা বেঁচে থাকলে আর কেউ মৃতের সম্পত্তি পায় না।
৭. কন্যার স্থান :
উপরের ছয়জন না থাকলে কন্যা পিতার সম্পত্তি পায়। সে এ কারণে সম্পত্তি পায় যে তার মৃত পিতাকে পিন্ড দেবার জন্য সে পুত্র প্রসব করতে সক্ষম। জীমুতবাহন স্পষ্টভাবে ঘোষনা করেছেন যে সে কন্যা উত্তরাধিকার পাবে না যে পুত্রবতী নয় বা পুত্র জন্ম দিবার শক্তি যার নাই বা যে বন্ধ্যা এবং যে শুধু কন্যাবতী। তবে যে কন্যা কোন পুরুষ শিশুকে পুত্ররূপে দত্তক নেবার জন্য সম্ভাবনা পূর্ণ, সে উত্তরাধিকার হতে বঞ্চিত হয় না। সুতরাং সকল কন্যা পিতার ত্যক্ত স্বত্বে সম্পত্তি পায় না। প্রথমে আসে অবিবাহিতা কন্যা। কন্যা অবিবাহিতা থাকলে, সে একাই পিতৃত্যক্ত সকল সম্পত্তি সমুদয়ভাবে পায়; ঐরকম কেউ না থাকলে পায় পুত্রবতী কন্যা। পুত্রবতী কন্যা, বন্ধ্যা বা পুত্রহীনা কন্যাক বঞ্চিত করে৷ অবিবাহিত বা পুত্রবতী কন্যা না থাকলে এবং সন্তানহীনা বিধবা কন্যা থাকলে পিতৃব্য পুত্র অথাত্ চাচার ছেলে সম্পত্তি পাবে। বর্তমানকালে প্রশ্ন উঠছে, হিন্দু কন্যার অধিকার থাকা উচিত কিনা তার পিতৃত্যক্ত সম্পত্তির উপর, তার পিতার পুত্রের সাথে অথাত্ তার ভাই এর সাথে। বাংলাদেশের সংবিধানে নারী পুরুষের সমতার অধিকার বিধৃত। এ সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে নারী পুরুষের সমতার কন্যার দাবি উত্থান হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কতিপয় হিন্দু পন্ডিত বলেন: কন্যা সম্পর্কে হিন্দু আইনের যে মহতি ধারণা বিদ্যমান তা প্রথমে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন।বিবাহের সাথে সাথেই কন্যা তার স্বামীর শ্বশুরের পরিবারে চলে যায়। স্বামী শ্বশুরের পরিবারের সে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যতদিন তার বিয়ে হয় নি ততদিন তার পিতা তাকে পালন করেছে, বিবাহের পর যে সম্পত্তি তার ভাইয়েরা ভোগ করেছে তার উপর সে লোভ রাখবেনা। দাবির অধিকার থাকলে কখনো লোভ চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। ফলে ভাইদের সাথে তার সম্পর্কের মধুরতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রাচীনকালের মুনি ঋষিগণ পারিবারিক বন্ধনকে মহাপবিত্র মনে করতেন, যে নীতিতে সে বন্ধন অটুট থাকে সেই নীতির নিদেশ তারা দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে হিন্দু নারীর অধিকার এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই নারীর অধিকার সংরক্ষণে তার পিতার সম্পত্তিতে ভাগ পাওয়াটা জরুরী হওয়ায় প্রাচীন কালের মুনি ঋষিদের মতানুযায়ী বন্ধনকে অটুট রেখে কন্যা পুত্রের পাশাপাশি তার পিতার সম্পত্তির অংশীদার হতে পারে।
৮. কন্যার পুত্র বা দৌহিত্র বা নাতি :
জীমুতবাহন বলেন কন্যা পিতার ত্যক্ত সম্পত্তিতে এ কারণে উত্তরাধিকার পায় যে সে এমন একজনের মাতা হতে পারে যে তার মাতামহের পিন্ড দান করতে পারে, ঠিক সে কারণে কন্যার পুত্র অথাত্ দৌহিত্রমৃতের পিতা এবং অন্যান্য আত্নীয় জীবিত থাকা সত্বেও মাতামহের সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পায়। তবে দৌহিত্রের পুত্র উত্তরাধিকার পায় না কারণ সে পিন্ড দেবার অধিকারী নয়
৯. পিতা:
৮ নম্বর বর্ণিত দৌহিত্র এর সাথে সাথে অধঃস্তন পুরুষের মধ্যে যারা পিন্ড দিতে পারেন । তাদের তালিকা শেষ হয়ে যাওয়াতে উত্তরাধিকার উধ্বগামী হয়। ধর্মীয় কারণে পিতা উত্তরাধিকার পান।
১০. মাতা:
বলা বাহুল্য, মৃতের পিতা জীবিত থাকতে মাতা উত্তরাধিকার পায় না। মাতা অসতী হলে সে উত্তরাধিকার লাভের ক্ষমতা হারায়। তবে দ্বিতীয় বিবাহ করে থাকলে সে উত্তরাধিকার হারায় না। বিমাতার কোন উত্তরাধিকার নাই ।
১১. ভ্রাতা অর্থাত্ ভাই :
জীমূতবাহন বলেন ভ্রাতার স্থান মাতার নিম্নে কিন্তু ভ্রাতুস্পুত্রের উপরে। ভ্রাতাদের মধ্যে সহোদর ভ্রাতারাই প্রথমে উত্তরাধিকার পায় এবং তাদের অবর্তমানে বৈমাত্রেয় (যেখানে মাতা দুইজন কিন্তু পিতা একজন) ভ্রাতারা পায়। এ কারণে সহোদর ভ্রাতারা পিতা ও মাতার দিকে পিন্ড দিতে পারে কিন্তু বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা পিতৃকূলে পিন্ড দিতে পারে।
১২. ভ্রাতুষ্পুত্র প্রথমে সহোদর পরে বৈমাত্রেয় :
ভ্রাতুষ্পুত্রের অবর্তমানে তার পুত্র পিন্ড দেবার অধিকারী বিধায় সেও উত্তরাধিকার পায়।
১৩. ভ্রাতুষ্পুত্রের পুত্র অর্থাত্ ভাইয়ের পুত্রের পুত্র:
১৪. ভাগিনেয় অর্থাত্ ভগ্নির পুত্র
১৫. পিতামহ অর্থাত্ পিতার পিতা
১৬. পিতামহী অর্থাত্ পিতার মাতা
১। রাম তার ১ পুত্র এবং সহোদর ভাই রেখে মারা গেল। তালিকা অনুযায়ী রামের পুত্র রামের সমস্ত সম্পত্তি পাবে। কারণ পুত্রের স্থান তালিকাতে ১নং আর ভ্রাতা অর্থাত্ ভাইয়ের স্থান ১১ নম্বরে। উপরে উত্তরাধিকারী পাওয়া গেলে নীচের কেউ উত্তরাধিকারী হবে না।
২৷ বলাই তার ১ স্ত্রী এবং দুই পুত্র রেখে মারা গেল। এক্ষেত্রে বলাইর ত্যাজ্য বিত্ত সমান তিন অংশে ভাগ হবে ৷ বিধবা স্ত্রী পাবে এবং বাকী অংশ দুই পুত্র তুল্যাংশে পাবে। ১৯৩৭ সনের সম্পত্তিতে হিন্দু নারীর অধিকার সংক্রান্ত আইন বলে বলাইর স্ত্রী এক ছেলের সমান অংশ পাবে। প্রকাশ থাকে যে, বলাইর বিধবার জীবনস্বত্বে হবে এবং এবং তার মৃত্যুর পর ঐ অংশ পুত্রদের উপর বতাবে ৷
৩৷ যদু তার দুই ভাই ও এক বোন রেখে মারা গেল। এখানে দুই ভাই তুল্যাংশে পাবে। দায়ভাগ মতে বোন সপিন্ড নয়। যে ৫ জন মহিলা উত্তরাধিকারিত্বের দাবিদার তাদের মধ্যে বোনের নাম নাই সুতরাং বোন সম্পত্তি পাবে না।
৪৷ কৃষাণ তার ৪ কন্যা এবং মাতা রেখে মারা গেল। কন্যাদের মধ্যে একজন অবিবাহিতা, একজন বিবাহিতা এবং পুত্রবতী, একজন বন্ধ্যা, এবং অপর জন বিধবা এবং তার দুই কন্যা সন্তান আছে। এইক্ষেত্রে অবিবাহিতা কন্যার দাবি সর্বাগ্রে, সুতরাং অবিবাহিতা কন্যা কৃষাণের সব সম্পত্তি জীবনস্বত্বে পাবে অন্যান্য কন্যাগণ কোন অংশ পাবে না। মাতা ও কিছু পাবে না। কারণ কন্যাদের ৫ নং এবং মাতার স্থান ৮ নং।
৫। ভাদু এক পুত্র, অপর মৃত পুত্রের দিকের দুই পৌত্র এবং অপর মৃত পুত্রের দিকের তিন প্রপৌত্র রেখে মারা গেল। ভাদু এ ক্ষেত্রে তালিকায় ১-৩ নং ব্যবস্থানুযায়ী ১/৩ ভাদুর পুত্র অংশ পাবে। তার দুই পৌত্র একত্রে অংশ পিছু নিয়মানুসারে এবং অপর তিন প্রপৌত্র একই নিয়মে অবশিষ্ট অংশ পাবে। পূর্বেই বলা হয়েছে এভাবে স্থলবতী নিয়মে অংশ পাওয়াকে বলা হয় অংশপিছু উত্তরাধিকারী।
৬৷ যদু মৃতা কন্যার এক দৌহিত্র, অপর মৃতা কন্যার দিকের দুই দোহিত্র এবং পিতাকে রেখে মারা গেল। এক্ষেত্রে পিতা কিছু পাবে না, কারণ পিতার স্থান সপিন্ডদের তালিকার ৯ নং আর দৌহিত্রের স্থান ৮ নং। তিন দৌহিত্র মাথাপিছু নিয়মে প্রত্যেকে সমান অংশ পাবে। অথাত্ ১/৩ অংশ পাবে। এ ক্ষেত্রে স্থলবতী মতবাদের অংশপিছু নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। কারণ প্রতিনিধিত্ব মতবাদ শুধুমাত্র পুত্র, পৌত্র এবং প্রপৌত্র থাকলেই প্রযোজ্য হয়,অন্য কোন ক্ষেত্রে নয়।
৭৷ মধু ক ও খ দুই বিধবা এবং এবং বিধবা ক এর দিকে দুই পুত্র এবং অপর বিধবা খ এর দিকে তিন পুত্র রেখে মারা গেল। এই ক্ষেত্রে প্রত্যেক পুত্র অংশ পাবে এবং ১ঌ৩৭ সনের সম্পত্তিতে হিন্দুনারীর অধিকার সংক্রান্ত আইন বলে মধু দুই বিধবা অংশ পাবে এবং প্রয়োজনবোধে তারা পুত্রদের সাথে বন্টন দাবি করতে পারবে৷ মধুর বিধবাদের জীবনস্বত্ব হবে। এক বিধবা মারা গেলে তার অংশ উত্তরাজীবি সুত্রে অপর বিধবা পাবে এবং পরে সেও মারা গেলে উভয় বিধবার অংশ মধুর পাঁচ পুত্র সমান অংশে পাবে৷
উত্তরাধিকারীদের ক্রমানুসারি তালিকার বর্ণনায় দৃষ্টি দেয়া হলে পিতামহী অর্থাত্ ১৬ নম্বর পযন্ত বলা হয়েছে। পরবর্তী ক্রম নিম্নরুপ:
১৭। পিতৃব্য অর্থাত্ পিতার ভাই
১৮। পিতৃব্য পুত্র অর্থাত্ চাচার পুত্র
১ঌ। পিতৃব্যের পৌত্র অর্থাত্ চাচার নাতি
২০। পিসীর পুত্র অর্থাত্ ফুফুর পুত্র
২১। প্রপিতামহ অর্থাত্ দাদার পিতা
২২। প্রপিতামহী অর্থাত্ দাদার মাতা
২৩। পিতৃব্যের পিতা অর্থাত্ চাচার পিতা
২৪। পিতৃব্যের পিতার পুত্র অর্থাত্ চাচার পিতার পুত্র
২৫। পিতৃব্যের পৌত্র অর্থাত্ চাচার নাতি
২৬ । পিতামহের ভাগিনেয় অর্থাত্ দাদার বোনের ছেলে
২৭। পুতনির পুত্র অর্থাত্ পুত্রের কন্যার পুত্র
২৮। ভাইঝির পুত্র
২ঌ। ভাইপোর কন্যা
৩০। পিতৃব্যের কন্যার পুত্র -চাচার কন্যার পুত্র
৩১৷ পিতৃব্যের পিতার কন্যার পুত্র-চাচার পিতার কন্যার পুত্র
৩২৷ পিতৃব্যের পিতার পুত্রের কন্যার পুত্র-চাচার পুত্রের কন্যার পুত্র
৩৩৷ মাতামহ – নানা
৩৪। মামা
৩৫। মামার পুত্র
৩৬। মামার পৌত্র অর্থাত্ মামার নাতি
৩৭। মাসীর পুত্র অর্থাত্ খালার পুত্র
৩৮। প্রমাতামহ অর্থাত্ নানার পিতা
৩ঌ। প্রমাতামহের পুত্র অর্থাত্ নানার পিতার পুত্র
৪০। প্রমাতামহের পৌত্র অর্থাত্ নানার পিতার নাতি
৪১। প্রমাতামহের প্রপৌত্র অর্থাত্ নানার পিতার নাতির পুত্র
৪২। প্রমাতামহের কন্যার পুত্র অর্থাত্ নানার পিতার কন্যার পুত্র
৪৩। প্রমাতামহের পিতা অর্থাত্ নানার পিতার পিতা
৪৪৷ তার পুত্র
৪৫। তার নাতি
৪৬। তার নাতির পুত্র
৪৭। তার পুত্রের কন্যা
৪৮। মাতামহের পুত্রের কন্যার পুত্র অর্থাত্ মাতার পিতার পুত্রের কন্যার পুত্র
৪ঌ৷ উহার পৌত্রের কন্যার পুত্র অর্থাত্ তার পুত্রের পুত্রের কন্যার পুত্র
৫০। প্রমাতামহের পুত্রের কন্যার পুত্র অর্থাত্ মাতার পিতার পিতার পুত্রের কন্যার পুত্র
৫১। উহার পৌত্রের কন্যার পুত্র অর্থাত্ তাহার পুত্রের পুত্রের কন্যার পুত্র
৫২। প্র প্রমাতামহের পুত্রের কন্যার পুত্র অর্থাত্ মাতার পিতার পিতার পুত্রের কন্যার পুত্র
৫৩। উহার পৌত্রের কন্যার পুত্র অর্থাত্ তার পুত্রের পুত্রের কন্যার পুত্র