ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:০৫:৫১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

হিন্দুদের নিরাপত্তা কোথায় ? সুবাস সাহা।

| ৭ আষাঢ় ১৪২৩ | Tuesday, June 21, 2016

সম্প্রতি গঠিত বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বাংলাদেশ রিপোর্টারস ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন এলেই হিন্দুদের উপর নির্যাতন নেমে আসে । শত সহস্র বছর ধরে চলে আসা নির্যাতনের কারণেই আজ দেশ হিন্দু শুন্য হয়ে পড়ছে। সুযোগ পেলেই এদেশে হিন্দু নারী-যুবতীদের ধর্ষন করা হচ্ছে। পুরোহিতদের হত্যা করা হয় কার স্বার্থে, কি অপরাধ তাদের। অথচ আগের সব সরকারের মতই এ সরকারও অপরাধীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট  দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিনিয়ির সহ-সভাপতি সুবাস চন্দ্র সাহা ও  অন্যান নেতৃবৃন্দ। বক্তব্যকালে তিনি বলেন,‘‘৭১ এর ৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ইতিহাসের রাখাল রাজা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য জীবনকে বাজী রেখে স্মুখ সমরে অংশ নিয়েছিলাম। সেদিন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান সকলেই কাঁধে কাঁধ মিলে যুদ্ধ করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া।  আজ সেই অসম্প্রাদায়িক রাষ্ট্রের এ কি অবস্থা ? আজ হিন্দুদের নিরাপত্তা কোথায় ? আজ কান্তজীর মন্দিরে বোমা হামলা হয়, দিনাজপুরের ইসকন মন্দিরে হামলা হয়, এ সব কিসের আলামত ? সারাদেশে চলছে গুপ্তহত্যা। ফরিদপুরের হিন্দু-বৌদ্ধ-খুষ্টান ঐক্যপরিষদ নেতা অলোক সেনকে হত্যার চেষ্টা, দিনাজপুরের রবীন্দ্র নাথ রায়কে হত্যার চেষ্টা, ঝিনাইদহের নলডাঙ্গায় শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরের  পুরোহিত আনন্দকে নির্মম ভাবে গল কেটে খুন করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে পাবনার পুরোহিতকে। আজও ঝিনাইদহের নলডাঙ্গার মানুষ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। সেখানকার মেয়েরা বোরকা পড়ে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছে গ্রামের বধুরা সিথির সিদুঁর মুছে ফেলেছে, ভেঙ্গে ফেলেছে হাতের শাখা। অথচ কোন অপরাধীকেই শাস্তির আওয়তায় আনা হচ্ছে না। পূজা-পার্বন থেকে শুরু করে হিন্দুদের যাবতীয় ধমীয় আচার অনুষ্ঠান চলছে ধীর গতিতে ভয় পাচ্ছে হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালনে। নলডাঙ্গা মন্দিরের ২০ একর ২০ শতক জায়গার মধ্যে ইতোমধ্যেই ভূমি দস্যূরা দখল করে নিয়েছে। সেখানে ২২ একরের উপরে বিশাল মাপের গঙ্গা দীঘী মন্দিরের সম্পদ, সেটিকে জবর দখল করে ভোগ করা হচ্ছে। মন্দিরের লিচু বাগান টাও দুর্বৃত্তরা দখল করে নিয়েছে। আমি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা, দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট উদাত্ত আহবান জানাই, আপনি নিজে হিন্দুদের বিষয়ে নজরদারী করুন । সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ তৈরীর জন্য সঠিক বিচারের প্রয়োজনে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সকল অপরাধের বিচার করুন এবং অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করুন, তা হলেই জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে আপনার ছায়াতলে। তা না হলে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই আছেন যাঁরা হিন্দুদের লুটেপুটে খাচ্ছে। হিন্দু দেবত্তোর সম্পদেও রয়েছে তাদের প্রচুর লালসা। আর সে কারণেই আজ স্বাধীন ষ¦দেশেও নিজেদের পরাধীন বলে মনে হচ্ছে। এ যে কত কঠিন কত বড় ব্যথার তা প্রকাশ করার যোগ্য নয়। দ্রত এই অবস্থার মধ্য থেকে বেড় হতে পারলেই শুধু সকলের জন্য মঙ্গল।