রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন দুই সাঁওতালকে গাইবান্ধা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তাদের গোবিন্দগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ এসএম তাসকিনুল হক এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদ জানান, আজ সন্ধ্যায় তাদের দুইজনকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর হাসপাতাল থেকে বিমল কিসকো ও দুপুরে চরণ সরেনকে নিয়ে যায় গাইবান্ধা পুলিশ।
গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সাহেবগঞ্জ আখের খামার এলাকার সাঁওতাল পল্লীতে পুলিশের হামলায় তারা আহত হন। এরপর তাদের আটক দেখিয়ে হাতকড়া পড়িয়ে ও কোমরে রশি বেঁধে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের দড়ি ও হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে গত ৬ নভেম্বর পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে তীরবিদ্ধ হন ৯ পুলিশ সদস্য এবং গুলিবিদ্ধ হন চার সাঁওতাল। এদের মধ্যে তিন সাঁওতাল নিহত হন। পরবর্তীতে পুলিশ-র্যাব ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এক অভিযান চালিয়ে মিলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে। এ সময় তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেয় ও লুটপাট চালায় স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কল্যাণ চক্রবর্তী বাদী হয়ে ৬ নভেম্বর রাতেই ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে তিনশ থেকে চারশ জনকে আসামি দেখিয়ে মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু হত্যার ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। এমনকি ওই ঘটনায় কোনও তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়নি।