ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:৪৬:৫৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

হাইকোর্টে রিট খারিজ বাংলাদেশে তিন ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার চলবে

| ১৬ মাঘ ১৪২৩ | Sunday, January 29, 2017

ভারতীয় তিন টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধ নিয়ে রিটের রায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার দুপুরে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় এ তিনটি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার চলতে কোনো বাধা রইল না।

গত বুধবার এ নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।

স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের পক্ষে সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু এবং জি বাংলার পক্ষে আইনজীবী শামসুল হাসান শুনানি করেন।

গত ৮ জানুয়ারি এ মামলার রুল নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হয়।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে কেন নির্দেশে দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০১৪ সালের ৭ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ আগস্ট ‘পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামের প্রতিবেদন জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের ঘরে-ঘরে বাড়ছে ভারতীয় ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয়তা। এসব সিরিয়াল-প্রীতির কারণে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে, দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি।

কিশোরী-তরুণীদের ফ্যাশনেও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সর্বশেষ, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’র প্রেমে প্রাণ গেল এক যুবক ও মেয়েশিশুর।’

সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে ভারতীয় চ্যানেলে বন্ধ চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়।