ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:৪২:৩৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

স্কুলছাত্রী কণিকা হত্যা মামলায় মালেকের মৃত্যুদণ্ড

| ১৯ মাঘ ১৪২৩ | Wednesday, February 1, 2017

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুরে স্কুলছাত্রী কণিকা রানী ঘোষকে প্রকাশ্যে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল মালেককে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।

 

বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জিয়াউর রহমান এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মালেক একই ইউনিয়নের বালুগাঁ দিয়াড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহত কণিকার পরিবারের সদস্যরা। তারা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবী জানিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে স্থানীয় মহিপুর এসএএম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী কণিকা রানী ঘোষ তার তিন বান্ধবী তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিয়ম আক্তারকে নিয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহিপুর ডিগ্রি কলেজের পেছনের সড়কে আব্দুল মালেক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই চার ছাত্রীকে কোপাতে থাকে। মালেকের হাসুয়ার আঘাতে কণিকাসহ তার তিন বান্ধবী তারিন, মরিয়ম ও তানজিমা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কণিকা রানী ঘোষকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় ওইদিনই নিহত কণিকার মা অঞ্জনা রানী ঘোষ বাদী হয়ে বখাটে মালেকের বিরদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি (সদর সার্কেল) ওয়ারেশ আলী মিয়া গত ৭ অক্টোবর বখাটে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মাত্র ১৫ কার্যদিবসে ২১ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার সকালে একমাত্র আসামির উপস্থিতিতে আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

এসময় নিহত কণিকার মা অঞ্জনা রানী ঘোষ, ছোট বোন কাঞ্চনা রানী, ঘটনার দিন আহত কণিকার তিন বান্ধবী তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিয়ম আক্তারসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত কণিকাকে হত্যার জন্য ঘাতক আব্দুল মালেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর তিন ছাত্রীকে হামলার জন্য ৩২৪ ধারায় ১০ বছর, ৩২৬ ধারায় ১৪ বছর এবং ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৫ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ের কণিকার স্বজনরা।

নিহত কণিকার মা অঞ্জনা রানী ঘোষ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এতে তার মেয়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে। তিনি এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানিয়েছেন।