ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:১৪:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার:প্রধানমন্ত্রী

| ২০ কার্তিক ১৪২৫ | Sunday, November 4, 2018

 

আজ রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ইসলাম ধর্ম বা হজরত মুহাম্মদ (সা. )-এর সম্পর্কে কোনো অপপ্রচার চালানো হলে সাইবার ক্রাইম আইন দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইন দিয়েই অপপ্রচারকারীদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শোকরানা মাহফিল’  অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জানি সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের, অপপ্রচার চালানো হয়। এই অপপ্রচারে কেউ বিশ্বাস করবেন না। এই অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য, এরই মধ্যে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করে সাথে সাথে সেই আইন দ্বারা তাদের বিচার করা হবে, গ্রেপ্তার করা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নবী করিম (সা.)-এর সম্পর্কে কেউ কোনো কথা বললে, আইন দ্বারাই তার বিচার হবে। আমরা সেভাবেই এই সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো রকম যাতে অপপ্রচার চালাতে না পারে, সেটা বন্ধ করার জন্য আমরা আইন করে দিয়েছি। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিব না। আইনের দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দিব। যাতে কখনো তারা এ ধরনের অপপ্রচার চালাতে না পারে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘সামান্য কয়েকটা লোক আমাদের ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে ইসলাম ধর্মের নামে বদনাম দেয়। যখনই কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যাই, কেউ যদি বলে ইসলামিস্ট টেররিস্ট, আমি সাথে সাথে আপত্তি জানাই। এটা বলতে পারবেন না। কারণ, সবাই এই টেরোরিজমে বিশ্বাস করে না।’

আজ কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ায় এই ‘শোকরানা মাহফিল’-এর আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এই মাহফিল শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে মাহফিলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেই আলেমদের সমাগমে একপ্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

ঢাকাসহ সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন, লঞ্চে করে ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে অংশ নিতে যেতে দেখা গেছে। টিএসসি ও মাজারগেট দিয়ে মাহফিল স্থানে প্রবেশ করছেন সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পরে সমাবেশ থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য ভাতার দাবি তোলা হয়।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও আয়োজক আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের কারণে রাজধানীর শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভেতরে সীমিত আকারে যান চলাচল করছে।