গত ১৩ জানুয়ারী শনিবার নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের নগরজোয়ার গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে লিটন সাহার বসতবাড়ী দখল করছে দুর্বৃতরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষ বাংলাদেশ ও জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সিনিঃ সহ-সভাপতি ও হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সোনারগাঁ উপজেলা কমিটির সাঃ সম্পাদক স্বপন শীল,ছাত্র মহাজোটের সভাপতি কৃষ্ণ শীল,সাঃ সম্পাদক নির্মল দাস,বারদী ইউনিয়ন সভাপতি স্বপন দাস প্রমুখ। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লিটন সাহা বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুল রবের ইন্ধনে নগরজোয়ার গ্রামে বসবাসকারী হিন্দু পরিবারগুলো এখন জিন্মি । চেয়ারম্যন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুযোগবুঝে নানা অযুহাতে আমাদের জমিজমার কাগজ পত্রে সমস্যা আছে বলে দেনদরবারে ডেকে নিয়ে তার মনগড়া রায় দিয়ে হেনস্থা করে আসছে, আর তার দেয়া রায় মেনে না নিলে তার পালিত সন্ত্রসীদের দ্বারা আমাদের ঘরবাড়ী দখল হূমকি ধমকিসহ নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তারই ফলশ্রুতীতে আমার প্রতিবেশী আঃ ওহাব গংরা আমার বসত বাড়ী দখল ও বেআইনী কর্মকান্ড পরিচালনা করে। ইতিপূর্বে আমার প্রতিবেশী তপন সাহার ঘর ভাংচুর এবং বসতবাড়ী দখল নেয় এই সন্ত্রাসী চক্র। প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো কান্নায় ভেঙ্গে পরে । তারা সন্ত্রাসী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রসাশনের সহযোগীতা কামনা করেন। উক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভোক্তভোগীদের আইনী সহায়তাদেওয়াসহ দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট।উক্ত ঘটনায় গত ১৪ জানুয়ারী ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লিটন সাহা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহারনং-৩৭ মামলাটির বিবরন হুবুহু তুলে ধরা হল…..
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
সোনারগাঁ থানা,নারায়ণগঞ্জ।
বিষয় ঃ অভিযোগ।
মহোদয়,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী লিটন সাহা (৩৮), পিতা- নিতাই চন্দ্র সাহা, সাং-নগর জোয়ার, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। আঃ ওহবা (৬৫), পিতা-অজ্ঞাত, ২। জামাল (২৯), ৩। কামরুল ইসলাম (২৭), উভয় পিতা-আঃ ওহবা, ৪। আয়েশা বেগম (৫০), স্বামী- আৎ ওহবা, সর্বসাং- নগর জোয়ার, থানা-সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ গনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, আমি একজন ব্যবসায়ী। বিবাদীগন আমার পার্শ্ববর্তী বাড়ীর বাসিন্দা। বিবাদীগন উচ্ছৃঙ্খল, পরধনলোভী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। নিম্ন তফসীলভুক্ত সম্পত্তি আমার পিতা নিতাই চন্দ্র সাহা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হইয়া ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। গত অনুমান এক বৎসর পূর্ব হইতে উক্ত সম্পত্তি নিয়ে বিবাদীদের সহিত আমার এবং আমার পরিবারের অন্যান্যদের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে এবং বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-১৯৯/১৭ ইং চলিতেছে। উক্ত বিরোধের জেরে বিবাদীগন বিভিন্ন সময়ে আমাদের সহিত কারনে অকারনে ঝগড়া বিবাদ করিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করিয়া থাকে এবং জোর পূর্বক উক্ত সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করিতে থাকে। সর্বশেষে ইং ১৩/০১/২০১৮ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় ১-৪নং পর্যন্ত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০/৩৫ জন বিবাদী হাতে লোহাররড, সাবল ও লাঠিসোঠা নিয়ে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া অনধীকারে আমাদের নিম্ন তফসীলভুক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করিয়া সকল বিবাদীগন আমাদের উক্ত সম্পত্তিতে থাকা একটি দোচালা টিনের ঘর ও ঘরের পাশে থাকা টিউবওয়েল ভাংচুর করিয়া পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফালাইয়া দিয়া আমার অনুমান ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ক্ষতি সাধন করিয়া জোর পূর্বক উক্ত সম্পত্তিতে নতুন ঘর নির্মান করার জন্য মালামাল নিয়ে গেলে আমার স্ত্রী টিটু রানী সাহা (৩০), বৌদি শোভা রানী সাহা (৫০) ও মাতা ভালবাসা রানী সাহা (৭০), ভাতিজী অনিতা রানী সাহা (১৯) গন বাধা দিলে সকল বিবাদীগন তাহাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে এবং প্রকাশ্যে বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। আশে পাশের লোকজন ঘটনা প্রমান করিবে।
তফসীল চৌহদ্দি
সোনারগাঁ থানাধীন নগর জোয়ার মৌজাস্থিত, দাগ নং-আর.এস-১১ দাগে ৩৩ শতাংশ সম্পত্তি। যাহার উত্তরে-নাজির হোসেন, দক্ষিনে- নিতাই চন্দ্র সাহা, পূর্বে-বিবাদী গং, পশ্চিমে- নীজ অত্র চৌহদ্দি।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে আপনার মর্জি হয়। তারিখ-১৪-০১-২০১৮
বিনীত
(লিটন সাহা)
মোবা: ০১৯২৩-৬১০৫২৯