ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:৩৯:৫০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ছাড়লেন একে খন্দকার

| ২ আশ্বিন ১৪২১ | Wednesday, September 17, 2014

ঢাকা: সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের উপপ্রধান সেনাপতি এবং সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, বীরউত্তম। পাশাপাশি তিনি সংগঠনটির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যার পর মহাসচিব বরাবর লেখা পদত্যাগ পত্র ফোরামের ধানমন্ডি কার্যালয়ে পৌঁছানো হয়। ফোরামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন হাবীব এটি গ্রহণ করেন।

এতে বলা হয়, ‘আমি অদ্য ১৭/০৯/২০১৪খ্রিঃ তারিখ থেকেই সজ্ঞানে এবং সুস্থ মস্তিষ্কে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের “চেয়ারম্যান” এর পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং অদ্য ১৭/০৯/২০১৪খ্রিঃ তারিখ থেকে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সদস্য পদ থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করছি।’

বয়সের কারণে বর্তমানে উক্ত পদে থেকে ফোরামের সার্বিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্প্রতি প্রথমা প্রকাশনী থেকে এ কে খন্দকারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক বই ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ প্রকাশিত হয়। বইটিতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কিছু মন্তব্যের কারণে বইটি নিয়ে অব্যাহত বিতর্ক হচ্ছে। বইটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে সংসদে। বিবৃতি দেওয়া হয় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষ থেকে।

এতে বলা হয়, বইটিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে যে দাবি উত্থাপন করেছেন, তা বাস্তবতাবিবর্জিত। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য আমাদের হতবাক করেছে। এই বইয়ের বক্তব্য এ কে খন্দকারের একান্তই নিজস্ব। বইয়ে তার বক্তব্য ও মন্তব্যর সাথে ফোরামের নীতি, আদর্শ ও ঐতিহাসিক সত্য উপলব্ধির মিল নেই।

উল্লেখ্য, ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠায় এ কে খন্দকার লিখেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। এছাড়া এ কে খন্দকার তার বন্ধু মঈদুল হাসানের বরাত দিয়ে বলেছেন, তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতার একটি ঘোষণাপত্র লিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তা পাঠ করতে বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টো তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের বিচার করতে পারবে।’

এ কথা শুনে তাজউদ্দীন আহমদ ক্ষিপ্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এছাড়া ‘মুজিব বাহিনী ভারতীয়দের কাছ থেকে সম্মানী পেতো’, ‘মুজিব বাহিনী অস্থায়ী সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে অবজ্ঞা করত’ মুক্তিযুদ্ধকালীন এমন আরো কিছু তথ্য তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না বলেও মন্তব্য রয়েছে বইটিতে।

মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তী একে খন্দকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন, অবসরগ্রহণের পর সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এবং ২০০৮-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পান পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে মহাজোট ও নির্বাচনকালীন সরকারে দায়িত্ব পালন করেন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিজে থেকে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ আবদানের জন্য ২০১১ সালে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক। তার নামে ঢাকার একটি রাস্তার নামকরণও রয়েছে।