সারা দেশে আদালতে বিদ্যমান প্রায় ৩০ লাখ মামলার জট কমাতে এবং দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে দেশের সব জেলা ও মহানগরে ‘মামলা ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। দেশের সব জেলা ও মহানগর দায়রা জজদের প্রতি এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। বিচারক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর পর্যায়ে মহানগর দায়রা জজ কমিটির সভাপতি হবেন।
হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার (সিনিয়র জেলা জজ) এস এম কুদ্দুস জামানের স্বাক্ষরে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এস এম কুদ্দুস জামান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের আদালতগুলোতে বিদ্যমান মামলার জট কমানো এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এটা করা হয়েছে। আশা করছি, ঈদের পরপরই এ কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে।
ইউএনডিপির সহযোগিতায় দেশের তিনটি জেলা আদালতে মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে সুফল পাওয়ায় সারা দেশে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও রাঙামাটি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। গত বছর থেকে এ তিনটি জেলায় কমিটি সক্রিয় রয়েছে। এ কমিটির কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট সারা দেশে মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটিকে দেশের মামলা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিলম্বসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির সহজ উপায় চিহ্নিত করে তা সুপারিশ আকারে প্রধান বিচাপতির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আর জেলা আদালতের ক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা জজ সভাপতি, সদস্য হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), অতিরিক্ত জেলা জজ, মুখ্য বিচারিক হাকিম, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর, জেলা সরকারী কেঁৗসুলি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক থাকবেন। কমিটিতে মহানগর আদালতে সভাপতি হিসেবে থাকবেন মহানগর দায়রা জজ। আর সদস্য হিসেবে থাকবেন মহানগর বিশেষ জজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মুখ্য মহানগর হাকিম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2014/09/26/133729#sthash.BtMcjLgI.dpuf সারা দেশে ৩০ লাখ মামলার জটসব জেলায় মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনিজস্ব প্রতিবেদকশেয়ার - মন্তব্য (0) - প্রিন্টঅঅ-অ+সারা দেশে আদালতে বিদ্যমান প্রায় ৩০ লাখ মামলার জট কমাতে এবং দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে দেশের সব জেলা ও মহানগরে ‘মামলা ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে। গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। দেশের সব জেলা ও মহানগর দায়রা জজদের প্রতি এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। বিচারক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর পর্যায়ে মহানগর দায়রা জজ কমিটির সভাপতি হবেন।
হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার (সিনিয়র জেলা জজ) এস এম কুদ্দুস জামানের স্বাক্ষরে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এস এম কুদ্দুস জামান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের আদালতগুলোতে বিদ্যমান মামলার জট কমানো এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এটা করা হয়েছে। আশা করছি, ঈদের পরপরই এ কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে।
ইউএনডিপির সহযোগিতায় দেশের তিনটি জেলা আদালতে মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে সুফল পাওয়ায় সারা দেশে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও রাঙামাটি জেলায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। গত বছর থেকে এ তিনটি জেলায় কমিটি সক্রিয় রয়েছে। এ কমিটির কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট সারা দেশে মামলা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটিকে দেশের মামলা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিলম্বসহ অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির সহজ উপায় চিহ্নিত করে তা সুপারিশ আকারে প্রধান বিচাপতির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আর জেলা আদালতের ক্ষেত্রে জেলা ও দায়রা জজ সভাপতি, সদস্য হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), অতিরিক্ত জেলা জজ, মুখ্য বিচারিক হাকিম, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর, জেলা সরকারী কেঁৗসুলি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক থাকবেন। কমিটিতে মহানগর আদালতে সভাপতি হিসেবে থাকবেন মহানগর দায়রা জজ। আর সদস্য হিসেবে থাকবেন মহানগর বিশেষ জজ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), মুখ্য মহানগর হাকিম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2014/09/26/133729#sthash.BtMcjLgI.dpuf