ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:০৫:৩৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

সাত মাসেও মনিন্দ্র হত্যার প্রধান আসামি অধরা

| ১৫ কার্তিক ১৪২৩ | Sunday, October 30, 2016

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি গোপাল চন্দ্র মন্ডল:-নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আলোচিত মনিন্দ্র অধিকারী হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি  তুহিনকে ৭মাসেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তুহিন শ্যামপুর এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করত। এ কারণে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের দাবি।মামলা ও পরিবারটির বর্তমান খোজ নিতে ঘটনাস্থলে গেলে মামলার বাদী প্রজাপতি রানী কান্নাজরিতকন্ঠে দি বিডি টাইমস্ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন আমরা সংখ্যালঘু ও গরীব তাই এই হত্যার বিচার পাবকিনা জানিনা।প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হলেও মামলার প্রধান আসামী তুহীনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । পুলিশ প্রধান আসামীকে গ্রেফতার না করতে পারায় চার্জশিট জমা দেননি আদালতে তাই বিচারকার্য বিলন্বিত হচ্ছে । অবিলন্বে প্রধান আসামীসহ সকল আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করতে সরকার প্রধানের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন পরিবারটি।বর্তমানে পরিবারটি চরম অর্থসংকটে দিনাতিপাত করছে তাই সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদেের সহায়তা চেয়েছেন পরিবারটি।

প্রসঙ্গত, ফতুল্লার রগুনাথপুর এলাকায় গত ১৬ মার্চ ভোরে প্রেমের সূত্র ধরে স্কুল পড়ুয়া তরুণীকে তুলে নেয়ার সময় বাধা দেন তার বাবা মনিন্দ্র অধিকারী (৪৫)। তখন তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে প্রেমিক তুহিন ও তার সহযোগীরা। প্রেমিক দ্রুত পালিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো ছুরি ও দু’টি মাইক্রোবাসসহ সাতজন এবং পরে আরো একজনকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী প্রজাপতি রায় বাদী হয়ে আটক আটজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। কিন্তু মনিন্দ্র অধিকারী হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি প্রেমিক তুহিনকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তুহিন রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করতো। যার কারণে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের দাবি।

মনিন্দ্রের তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে বর্ণা অধিকারীর বিয়ে হয়ে গেছে কয়েক বছর আগেই। মেঝ মেয়ে ঝর্ণা রানী অধিকারী (১৬) স্থানীয় হাজী পান্দে আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট মেয়ে রত্মা অধিকারী (৯) স্থানীয় শুভেচ্ছা কিন্ডারগার্টেনের চতুর্থ শ্রেণি ও ছেলে কৃষ্ণ প্রিন্স (৫) একই স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্র।

ঝর্ণা রানী বলেন, ‘গত বছর রগুনাথপুর এলাকাতে কালীপূজার অনুষ্ঠানে ডিজে পার্টির আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই অনুষ্ঠানেই ডিজে পার্টিতে সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে আসে ঢাকার শ্যামপুর এলাকার জনৈক তুহিনের মালিকানাধীন ‘তুহিন সাউন্ড সিস্টেম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তুহিন শ্যামপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। ওই অনুষ্ঠানেই তুহিনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তখন ‘তুহিন আমাকে প্রস্তাব দিলেও সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। কারণ তুহিন মুসলমান আর আমি হিন্দু।’

ঝর্ণা বলেন, ‘একদিন ভোর ৪টায় আমাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে তুহিন ও তার বন্ধুরা। তখন বাধা দিতে গেলে আমার বাবাকে তারা ছুরি মেরে হত্যা করে। পরে এলাকার লোকজন ধাওয়া করে সাতজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই সময় পালিয়ে যায় তুহিন ও তার বন্ধু সবুজ।’

ওই ঘটনায় আটককৃতরা হলো- নজরুল ইসলাম (৩৫), মনিরুল ইসলাম মনির (৩৪), জাহিদ (২০), আলভার্ট সুশান্ত (১৯), জুয়েল (২৫), বাবু (২১) ও হৃদয় (২৬)।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে পাঁচজন। ১০ জন আসামির মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন প্রধান আসামি তুহিন ও তার বন্ধু সবুজ পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।