মাদারীপুরের কালকিনিতে এক সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত পুলিশ সুপার (এসপি) মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলেছেন।
আজ রোববার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারিসহ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), মাদারীপুরের এসপি, কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
এই রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
একটি জাতীয় দৈনিকে আজ রোববার ‘সাংবাদিককে গাছে বেঁধে নির্যাতন, পরে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার’ প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদারীপুরের কালকিনিতে দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাঁকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করতে চাইলেও তা নেয়নি পুলিশ। উল্টো শুক্রবার রাতে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়।