ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০০:১৮:০৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

সর্বোচ্চ হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার!

| ১৯ মাঘ ১৪২১ | Sunday, February 1, 2015

   

ঢাকা: চলমান অবরোধ-হরতালে নাশকতা ও সহিংসতা বন্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানের দিকে যাচ্ছে সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার অবস্থান থেকে সরে না এলে তাকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও সরকার সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এমন ইঙ্গিত দিয়েছে।

মাধ্যমিক স্কুল সর্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট অবরোধ-হরতাল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়ায় সরকার হার্ডলাইনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই জানায় সূত্রগুলো।

সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্যেও অবরোধ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট।

টানা অবরোধ-হরতালের নাশকতায় ইতোমধ্যে ৪০ জনের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মানুষ হত্যার আর সুযোগ না দেওয়ার লক্ষ্যেই সরকারের সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান।

এদিকে, শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, শনিবার দিনের বেলায় কেবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে অবশ্য বিদ্যুৎ চালু করা হয়।

রাতেই গ্রেফতার করা হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে। এই অবস্থায়ও হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলে বিএনপির অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ খালেদা জিয়াকেও গ্রেফতার করতে সরকার পিছ পা হবে না, জানায় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

যদিও এ বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সর্বোচ্চ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমন অবস্থানেই রয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানের কনফেডারেশন বানাতে জামায়াতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া জামায়াত দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন এবং এই সুনির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনভাবেই এগিয়ে যাবে। তাদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে সরকার সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেবে।

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র করতে তারা সব ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংস করতে চায়। এ কারণেই এসএসসি পরীক্ষায় বাধা দিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, তারা যত সহিংস হয়ে উঠবে, সরকার তত হার্ড হবে। এছাড়া সরকারের আর করার কি আছে।

বাংলাদেশ সময়