‘সর্বাত্মক’ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘উন্নয়ন ভাবনা ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এর মাধ্যমেই সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।’
সরকার গণতন্ত্র হরণ করে নিয়েছে বলে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলন ছাড়া আর বিকল্প নেই।’
লন্ডনে অবস্থানকারী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আগামীদিনের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তর সালে কারা ধানমণ্ডির ৩২ নং বাড়ির রক্তের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে খোন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছিলেন। আজ তারাই এই সরকারের চারপাশে ঘিরে আছে। এসব সত্য কথা তারেক রহমান তুলে ধরেছেন বলে মন্ত্রীদের গায়ে জ্বালা করে।’
ফখরুল বলেন, ‘ওই সময়ে রক্ষীবাহিনীর সমন্বয়ক কে ছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ডের সময়ে সমন্বয়কারী কোথায় ছিলেন। সেই ইতিহাসের কথা বললে সরকারের গাত্র দাহ হয়। তারা ক্ষেপে ওঠেন।’
দেশের বর্তমান অবস্থাকে ‘ভয়াবহ’ অভিহিত করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমদ।
বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, অধ্যাপক মইনুল আহসান খান, অধ্যাপক আবদুর রশীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমীর হোসেন ভুঁইয়া, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হালিম ডোনার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমূখ।