ঢাকা : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ইসলাম সাম্য, সম্প্রীতি ও শান্তির ধর্ম এতে উগ্রতা কিংবা জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই
তিনি বলেন, যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস চাপিয়ে সমাজে অস্থিরতা ও জনমনে আতংক সৃষ্টির পায়তারা করছে তাদের সামাজিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থায় জঙ্গীবাদ বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার, এএইচ এম জিয়াউল হক, যুগ্মসচিব এটিএম নাসির মিয়া, ড. নাজমান আরা, উপসচিব শামীম আহমেদ, মাহবুবুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো কিন্তু তারা সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষার কাছে পরাজিত হয়েছে, এবারও মানবিক চেতনা বিকাশের মাধ্যমে জঙ্গীবাদীদের পরাজিত করা হবে। এ জন্য প্রতিটি সচেতন বিবেককে ইসলামের সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে জনগণকে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির চক্র রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হয়ে ৮০’র দশকে ধর্মের নামে প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসীদের পায়ের রগ কেটে দিয়ে উন্মত্ততা ছড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু তারা সমাজের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়।
তিনি বলেন,২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গীবাদকে রাষ্ট্রীয় পোষকতা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উত্থান ঘটে বাংলা ভাইদের, দেশজুড়ে উগ্রবাদের মহোৎসব হয়। আজকে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ তারই বিষবৃক্ষের ফল। এ বৃক্ষের উৎপাটনে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে সন্তানের প্রতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে তার দৃষ্টি দিতে হবে সে কি করছে।