ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:১২:২৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সমালোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয় না : তথ্যমন্ত্রী

| ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ | Friday, May 26, 2017

ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সমালোচনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয় না। গণতন্ত্রও ব্যাহত হয় না।
রাজধানীর কলাবাগানে বৃহস্পতিবার সকালে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র ‘জার্নালিজম, কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ’ বিভাগের চতুর্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা সরকারের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল করে তোলে। ‘শেখ হাসিনার সরকার সমালোচনা সহ্য করার সরকার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যা সম্পর্কে গণমাধ্যমের সমালোচনায় সরকারের ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণে জনদুর্ভোগ দ্রুত লাঘব করেছে।
গণমাধ্যমের গুরুত্ব বর্ণনাকালে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘রাজনীতিকরা ভুল করলে সমাজ সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু গণমাধ্যম ভুল করলে সমাজ ভেঙে পড়তে পারে। তাই গণমাধ্যমের ভুল করা চলবে না, সত্য উপস্থাপন করতে হবে, স্বাধীনতা-সংবিধানের প্রশ্নে আপোস করা চলবে না।
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষতার নামে দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের সৈনিকদের সাথে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিসন্ত্রাসী ও তাদের দোসরদের কোনোভাবেই এক পাল্লায় মাপা উচিত নয়।’
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিষয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে নিজেকে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের পক্ষের সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমি মোটেও নিরপেক্ষ নই এবং দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে নিরপেক্ষতার নামে মাঝখান দিয়ে হাঁটার কোনো সুযোগ নেই।’
ছাত্র-ছাত্রীদের দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত থাকার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে মন্ত্রী-এমপি হতে হয়না, বুকে দেশপ্রেম নিয়ে যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হয়। তাতেই জীবনের সার্থকতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডা. এ এম শামীম।
এদিকে আজ দুপুরে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’র শিল্পী ও কুশলীদের হাতে সম্মাননা তুলে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) জহির রায়হান মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি আয়োজিত ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার শিল্পী ও কুশলীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী তাদের সম্মাননা স্মারক প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
‘ওরা ১১ জন’র পরিচালক প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলামের পক্ষে তার স্ত্রী জ্যোৎস্না কাজী, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চিত্রনাট্যকার কাজী আজিজ, অভিনয়শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, নূতন, মিরানা জামান, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং অসুস্থ খসরু, নায়করাজ রাজ্জাক ও এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতিনিধি ও পরিবেশক স্টার ফিল্মস ডিস্ট্রিবিউটরস-এর প্রধান ইফতেখারু আলমের প্রতিনিধি সম্মাননা গ্রহণ করেন।
১৯৭২ সালের ১৩ আগস্ট মুক্তি পায় ‘ওরা ১১ জন’। একাত্তরের রণাঙ্গনের অকুতোভয় বীর সেনানীদের অভিনয়সমৃদ্ধ এ সিনেমা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ১৬ ও ৩৫ মিলিমিটার ফিল্মসহ ডিজিটাল ফরম্যাটে আগামী ৫০০ বছরের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারের সভাপতিত্বে মোহাম্মদ হোসেন জেমী’র সঞ্চালনায় আবেগঘন স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের মধ্যে সৈয়দ হাসান ইমাম, মাসুদ পারভেজ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নূতন, কাজী ফিরোজ রশীদ, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক শচীন্দ্রনাথ হালদার প্রমখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।