ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:০৭:০১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সন্ত্রাস নির্মূলে অস্ত্র ও অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

| ৭ কার্তিক ১৪২৩ | Saturday, October 22, 2016

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তাঁর দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এ দু’টি দানব নির্মূলে যে কোন মূল্যে অস্ত্র ও অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে। অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনায় বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করতে না দেয়ার তাঁর সরকারের অবস্থানের কথাও প্রধানমন্ত্রী পুনরুল্লেখ করেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী আজাদ। প্রতিনিধি দলে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ছেলে অভিজিৎ মুখার্জী এমপিও রয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে যোগদানে তারা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ভারতের রাজ্য সভায় বিরোধী দলের নেতা গোলাম নবী আজাদ সন্ত্রাস দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটি আপনি সাফল্যের সঙ্গে সামাল দিয়েছেন। এ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করবো।’
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন একটি গতিশীল অর্থনীতির দেশ।
গোলাম নবী ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জন্মশত বার্ষিকী পালন সংক্রান্ত কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে ইন্দিরা গান্ধীর ওপর একটি লেখা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বর্ণনা দিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন ইতিহাসের অংশীদার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার ও জনগণের সমর্থন এবং সহযোগিতার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সাথে দেশের এবং দলের সাথে দলের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করা। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, কাজী নাবিল আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চীনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ও সেদেশের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ঝেং জিয়াওসং।

ঢাকা-বেইজিং বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে চীনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত দলের সাথে দলের সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চীনের প্রেসিডেন্টের সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শি জিনপিং ঢাকা সফর করে খুবই অভিভূত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর ফলে দু’দেশের সম্পর্ক সার্বিক ও কৌশলগত সহযোগিতার এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে ঝেং জিয়াওসং বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি গত অর্থবছরে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি অর্জনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যেকার সম্পর্ক আরো সুসংহত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে ঝেং জিয়াওসং চীনের প্রেসিডেন্টের একটি চিঠি শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক সফরে সহযোগিতার এক নতুন দুয়ার খুলে গেছে। দলের সাথে দলের সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে শিগগিরই দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় হবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিসমূহের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দ্রুত এগুলোর বাস্তবায়ন চায়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, চীনের উন্নয়নের ব্যাপারে জাতির জনক যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা সত্যে পরিণত হয়েছে।
এ সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।