ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:৫৫:৪৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

সন্ত্রাস দমনে ঢাকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে নয়াদিল্লী : সুষমা স্বরাজ

| ২৫ আষাঢ় ১৪২৩ | Saturday, July 9, 2016

ঢাকা : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গুলশান ক্যাফেতে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নয়াদিল্লী সন্ত্রাস দমন এবং সহিংসতার হুমকি থেকে সমাজ রক্ষায় ঢাকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর কাছে শুক্রবার পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, শোকের এ সময়ে ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের পাশে আছে। নয়াদিল্লী সন্ত্রাস দমন ও ঘৃণা, সহিসংতা এবং সন্ত্রাসের মতাদর্শগত হুমকি থেকে সমাজ রক্ষায় ঢাকার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।
সুষমা স্বরাজ সন্ত্রাস মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ এবং একেবারে ছাড় না দেয়ার নীতি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনে সর্বস্তরে একেবারে ছাড় না দেয়ার নীতি এবং সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানিতে তিনি ব্যথিত হয়েছেন।
সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা তাদের আপনজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও শোক এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
তিনি বলেন, বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসের এ সময়ে এ ধরণের নির্বোধ হামলা চালানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ পবিত্র রমজানের এ সময় সত্যিকারের বিশ্বাসীগণের মন এক ধরনের আধ্যাত্মিক চূড়ায় আরোহণ করে। তার মানে এ হামলা এটাই প্রমাণ করে সন্ত্রাসের কোন ধর্ম নেই, নেই কোন বিশ্বাস।
ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্যে গুলশান ক্যাফেতে যারা বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে কমান্ডো অভিযানের আগে সন্ত্রাসীরা ২০ জিম্মিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাত জাপানী, এক ভারতীয়, দুই বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।
এছাড়া জিম্মি উদ্ধারের চেষ্টাকালে গোয়েন্দা শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন খান নিহত ও আরো ২৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে সেনা নেতৃত্বাধীন কমান্ডো অভিযানে ছয় সন্ত্রাসী নিহত ও একজন জন ধরা পড়ে। অভিযানকালে নারী শিশুসহ ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়।